সিরাজগঞ্জে এজলাসে তালা, চতুর্থ দিনেও জজ কোর্ট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে হাজিরা দেওয়ার ফৌজদারী কর্মকান্ড বন্ধ রয়েছে আইনজীবিদের। এতে চরম বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা বিচার প্রাথীরা।
[৩] বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে কর্মবিরতি রেখে বার কাউন্সিলের হল রুমে অবস্থান করছেন আইনজীবিরা।
[৪] জেলা আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. আব্দুর রউফ পান্না জানান, এ বিষয়ে মিমাংসা জন্য বুধবার দুপুর ২টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে যদি সুরাহ বা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, তাহলে পরবর্তীতে আমরা আরও কঠিন অবস্থানে যেতে বাধ্য হব। এদিকে সুষ্ঠু বিচার না পেলে আইনজীবিদের কোর্ট বর্জন অব্যাহত থাকবে।
[৫] তিনি আরও বলেন, গত রোববার (১৬ জানুয়ারি) জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের স্টেনোগ্রাফার ইউসুফ আলী বাদী হয়ে ১১ জন আইনজীবীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয়ে আরো ১৫/২০ জনকে আসামি দায়ের করেছে সদর থানায়। মামলা প্রত্যাহার না হলে এজন্য আমরা জরুরী মিটিং ডেকে আরও কঠিন সিদ্ধান্তে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।
[৬] প্রসঙ্গত, ১৩ জানুয়ারি জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের স্টেনোগ্রাফার ইউসুফ আলীর সাথে এ্যাডভোকেট আবুল কালামের কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরদিন রোববার সকালে কোট ও বিভিন্ন অফিস কক্ষসহ সকল এজলাসে তালা দেয় ইউসুফ আলীর লোকজন। এরই প্রতিবাদে জেলা আইনজীবি সমিতির সকল সদস্যরা কোর্ট চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন করে আদালত বর্জণ করে। আজ বুধবার কোর্ট বর্জনের চতুর্থ দিন চলছে।