গতকাল রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ তাপমাত্রাকে সাত বছরের মধ্যে দেশের সর্বোচ্চ বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৪ সালে চুয়াডাঙ্গায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।
এদিকে গতকাল রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রাও ছিল আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আবহাওয়া অফিস বলছে, এ দিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, দেশজুড়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এর মধ্যে বৃষ্টিহীন বৈশাখে সবচেয়ে গরম দিন গেল রোববার। ২০১৪ সালের পর এটা সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এটা অস্বাভাবিক তাপমাত্রা নয়। বৃষ্টি না থাকায় এমন তাপমাত্রা।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. তৌহিদা রশীদ বণিক বার্তাকে বলেন, কয়েক দিন ধরেই তাপমাত্রা অনেক বেশি রেকর্ড করা হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে হচ্ছে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার পেছনে কিছু দীর্ঘমেয়াদি কারণ তো রয়েছে। তবে সম্প্রতি কালবৈশাখী ঝড় হলেও বৃষ্টি সেভাবে হয়নি। এজন্য তাপমাত্রা কমছে না।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে রেকর্ড ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল। আর স্বাধীনতার আগে ১৯৬০ সালের ৩০ এপ্রিল ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
থার্মোমিটারের পারদ চড়তে চড়তে ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠলে আবহাওয়াবিদরা তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলেন। উষ্ণতা বেড়ে ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তাকে বলা হয় মাঝারি তাপপ্রবাহ। আর তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ ধরা হয়।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, রাজশাহী, যশোর, কুষ্টিয়া ও খুলনা অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। নেত্রকোনা জেলাসহ খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশসহ ঢাকা, চট্টগ্রাম, রংপুর, সিলেট, বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী দুইদিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সপ্তাহের শেষে বৃষ্টি ও বজ বৃষ্টির আভাস রয়েছে।