সাকিব নয় খুলনার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ

করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরও ক্রিকেটার্স ড্রাফটে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের নাম রাখা হয়েছিল। তাই তাকে নিয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের চার দল কোনো আগ্রহ দেখায়নি। এমনকি মিনিস্টার রাজশাহী সুযোগ পেয়েও তাকে নেয়নি দলে। কারণ তিনি কবে করোনা থেকে মুক্ত হবেন তার উত্তর ছিল অজানা। তবে সুযোগটা দারুণভাবে লুফে নেয় জেমকন খুলনা। সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকার ‘এ’ ক্যাটাগরি থেকে সাকিব আল হাসানকে নেয়ার পরও তারা দলে টানে মাহমুদুল্লাহকে। অন্যদিকে গতকাল সকালে সুসংবাদ আসে যে মাহমুদুল্লাহ করোনামুক্ত। এর কিছুক্ষণ পরই জেমকন খুলনা তাদের অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের নাম ঘোষণা করে।
অথচ তার এই আসরে খেলা নিয়ে ছিল শঙ্কা। শুধু তাই নয়, অধিনায়ক হিসেবে খুলনার ভক্তকুলের ধারণায় ছিল সাকিবের নাম। কিন্তু দেশের সাবেক টেস্ট ও টি- টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিবকে খুলনা নেতৃত্ব তুলে দেয়নি। তারা আস্থা রেখেছে দেশের বর্তমান টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ওপরই। দলটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ বলেন, ‘জেমকন খুলনা বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে অংশ নিতে পেরে ভীষণ আনন্দিত। পাশাপাশি সাকিব ও মাহমুদুল্লাহকে একসঙ্গে পেয়েও আমরা খুব রোমাঞ্চিত। তবে টি-টোয়েন্টি কাপে মাহমুদুল্লাহ জেমকন খুলনা দলকে নেতৃত্ব দেবেন।’
রিয়াদে আস্থা রাখার কারণও আছে জেমকন খুলনা দলের। কারণ বিপিএলে তাদের দল খুলনা টাইটান্সের অধিনায়কও তিনি ছিলেন। এমনকি তার হাত ধরেই দলটির সাফল্য আসে বিপিএলে। এক কথায় সম্পর্কটা পুরানো। এ বিষয়ে কাজী ইনাম আহমেদ বলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদুল্লাহ খুলনা টাইটানসকে তিন মৌসুমে অনেক সাফল্য এনে দিয়েছেন। এই টুর্নামেন্টে আমরা ইতিবাচক ক্রিকেটের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে খেলতে মুখিয়ে আছি।’ তার নেতৃত্বেই আগামী ২৪শে নভেম্বর উদ্বোধনী দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা তাদের প্রথম ম্যাচ খেলবে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে। যে দলের নেতৃত্বে থাকতে পারেন দেশ সেরা ওপেনার ও ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ক্রিকেটার্স ড্রাফটের আগেই করোনা আক্রান্ত হন মাহমুদুল্লাহ। সে কারণে তার পাকিস্তান সুপার লীগ (পিএসএল) খেলতে যাওয়া হয়নি। অনেকেই ধারণা করেছিলেন হয়তো এই আসরে খেলাই হবে না তার। তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছিলেন খেলা হোক বা না হোক ড্রাফটে থাকবে তার নাম। ১২ই নভেম্বর রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ৫ দল ড্রাফটের তালিকা থেকে লটারির মাধ্যমে বেছে নেয়। সে সময় করোনা আক্রান্ত থাকায় ‘এ’ ক্যাটগারিতে থাকা মাহমুদুল্লাহকে প্রথম ডাকে কোনও দল নেয়নি। এই সুযোগটাই কাজে লাগায় জেমকন খুলনা। দ্বিতীয় ডাকে তারা মাহমুদউল্লাহকে দলে ভেড়ায়। শুধু তাই নয় দুজন ‘এ’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার নিয়ে সবচেয়ে দামি দল এখন খুলনার।
অন্যদিকে অধিনায়ক হিসেবে তার ওপর আস্থা রাখায় ভীষণ খুশি মাহমুদুল্লাহ। এখন তার প্রতিদান দিতে চান তিনি। মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য জেমকন খুলনার কর্ণধার কাজী ইনাম আহমেদ ও টিম ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ জানাই। আমাকে বঙ্গবন্ধু টি- টোয়েন্টি কাপে জেমকন খুলনার নেতৃত্ব দেয়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমার তিনটি মৌসুম এই ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কাটানোর সুযোগ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টিতেও এই সুযোগ পেয়ে আমি খুব খুশি।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *