ফেডারেশন কাপের খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। একটি মাত্র ড্র নিয়ে গ্রুপ পর্বের বাধা পেরুলেও কোয়ার্টার ফাইনালের হার্ডল টপকাতে পারেনি। তবে প্রিমিয়ার লীগে অন্যরূপে হাজির হয়েছে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ক্লাবটি। আগের ম্যাচে উড়তে থাকা সাইফ স্পোটিংকে মাটিতে নামানোর পর গতকাল প্রিমিয়ার লীগে টানা পাঁচ ম্যাচ অপরাজিত থাকা শেখ রাসেলকে প্রথম হারের স্বাদ দিয়েছে ক্লাবটি। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ৪-২ গোলে জিতেছে শেখ জামাল। টানা পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে শফিকুল ইসলাম মানিকের দল। এক ম্যাচ বেশি খেলা বসুন্ধরা কিংস ১৮ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে শীর্ষে। শেখ জামালের জয়ে ছয় ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে শেখ রাসেল চতুর্থ স্থানে এবং ১৪ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনী লিমিটেড তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে।
টানা চার জয়ের আত্মবিশ্বাস নিয়ে নামা শেখ জামাল প্রথমার্ধের শেষ দিকে দুই গোল করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েনেয়।
প্রথম গোলে অবশ্য গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার মনোযোগের কমতির দায় ছিল। বক্সের বাইরে থেকে সুলাইমান সিল্লাহর শটে বলের লাইনে ছিলেন রানা। কিন্তু একটু লাফিয়ে উঠে তালগোল পাকান তিনি। বল তার গ্লাভস ফসকে জাল খুঁজে নেয়। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ভালিজনোভের থ্রু পাস ধরে গাম্বিয়ার ফরোয়ার্ড ওমর জোবের বক্সে ঢুকে ডান পায়ের জোরালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৫৯তম মিনিটের গোলে শেখ রাসেলকে আরও কোণঠাসা করে ফেলে শেখ জামাল। বাঁ দিক থেকে সুলেমান কিংয়ের শট তাজিকিস্তানের ডিফেন্ডার সিওভুস আসরোরভ ফেরানোর পর জোবের ফিরতি কোনাকুনি শটে পরাস্ত রানা। ৬৬তম মিনিটে ডি-বক্সে ঢুকে ভালো পজিশন থেকে ক্রসবার উঁচিয়ে মেরে ম্যাচে ফেরার সুযোগ নষ্ট করেন শেখ রাসেলের মোহাম্মদ ইলিয়াস। তিন মিনিট পর গোল পায় ২০১২-১৩ মৌসুমের লীগ চ্যাম্পিয়নরা। দুইশবেকভের কর্নারে মোনেকের হেড দূরের পোস্টে লাগার পর জিয়াউর রহমান ফেরালেও বল গোললাইন পেরিয়ে যায়। ৭৪তম মিনিটে শেখ রাসেলের ঘুরে দাঁড়ানোর পথটা আরও কঠিন করে দেয় সলোমন কিংয়ের পেনাল্টি গোল। ডি-বক্সে গাম্বিয়ার এই ফরোয়ার্ডকে পেছন থেকে ট্যাকলে বদলি ডিফেন্ডার রাশেদুল আলম মনি ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজিয়েছিলেন রেফারি। দুইশবেকভ ৮২তম মিনিটে স্পট কিক থেকে ব্যবধান কমান।