শুটিং নিয়ে বেশ দোটানায় রয়েছেন টিভি নাটকের শিল্পীরা। শুটিংয়ে ফেরা না ফেরা নিয়ে দ্বিধায় রয়েছেন। এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ করার পক্ষে রয়েছেন কিছু শিল্পী। তাদের অনেকে কাজ শুরুও করেছেন। অন্যদিকে অনেকেই এখন শুটিং করা নিরাপদ মনে করছেন না। ৭২ দিন শুটিং বন্ধ থাকার পর ১লা জুন থেকে টিভি নাটকের শুটিং শুরু হয়েছে। এর আগে করোনাভাইরাসের কারনে ২২শে মার্চ টিভি নাটকের শুটিং বন্ধের সিদ্ধান্ত আসে নাটকের আন্তঃসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে। তবে অনেকে লকডাউনে বাসায় মোবাইল ক্যামেরায় শুটিং করেছেন।
এই সময়ের জনপ্রিয় তারকাদের কেউ কেউ যেমন শুটিংয়ে ফিরেছেন, তেমনি অনেক তারকাই ঘরে থাকছেন। এখনই তারা শুটিং শুরু করতে চান না। নিতে চান সময়। বিষয়টি নিয়ে অভিনেতা মীর সাব্বির বলেন, করোনা ভাইরাস আসলে খুব সহজে যাচ্ছে না বলেই মনে হচ্ছে। সুতরাং আমাদের এভাবেই শুটিং করতে হবে। নিজের সুরক্ষা নিজের কাছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে। এর বিপরীর কথা বলেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। তিনি বলেন, এটি একটি স্বাধীন পেশা। আমি যদি আমার কাজ নিরাপদ মনে না করি তাহলে শুটিং করবো না। এছাড়া আমাদের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে। আমি এই সময়টা আরো পর্যালোচনা করতে চাই। তারপর শুটিংয়ে ফেরার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। তড়িঘড়ি করে কাজে ফিরে রিস্ক নেবো না। এই সময়ে আমাদের ঘরে থাকায় নিরাপদ মনে করি। এদিকে গেল তিন মাসের বেশি সময় ধরে ঘরেই আছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবিন চৌধুরী। শুটিংয়ে এখনই অংশ নিতে চান না তিনিও। মেহজাবিন বলেন, অনেকে সিডিউল চেয়েছেন। কিন্তু আমি এখনো কাজ করার মতো পরিবেশ পাচ্ছি না। গেল তিন মাস ঘরেই থাকছি সবার নিরাপত্তার কথা ভেবে। শুটিংয়েতো আমরা সবাই ফিরতে চাই। কিন্তু সময়টা খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রতিদিইন করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে শুটিং করবো না। কবে নাগাদ ফিরবো তাও বলতে পারছি না। চলতি সময়ের টিভি নাটকের জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো বলেন, দেশে যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে আমি এখনো নিরাপদ অনুভব করছি না। তাই এই সময় শুটিংয়ের বিষয়টি মাথায়ই আনছি না। সমিতিগুলো যে ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে, তা মেনে কতটুকু সঠিকভাবে কাজ করা হচ্ছে, সেগুলো দেখার বিষয়। এদিকে এই সময়ের শুটিং নিয়ে অভিনেতা ও ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, লকডাউনের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন ভাবে শুটিং করতে চেয়েছেন। কেউ কেউ বিকল্প মাধ্যম মোবাইল ক্যামেরায় শুটিং করেছেন। আমরা তাই নাটকের আন্তঃসংগঠনগুলো শুটিং শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এখানে আমাদের সংগঠনের কিছু নিয়ম-নীতি মেনেই শুটিং করার কথা বলা হয়েছে। একইসাথে সরকারি বিধি-নিষেধও মেনে শুটিং করার কথা আমরা বলেছি। এখন যারা শুটিং করছেন তারা নিজেদের সেফটি নিয়েই শুটিং করছেন। যারা নিরাপদ মনে করছেন না তারা ঘরে থাকছেন। আমি এখনো শুটিং শুরু করিনি। আরো কিছুদিন পরিস্থিতি দেখতে চাই। তারপর শুটিংয়ে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবো।