শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলতে পারে এ মাসের মাঝামাঝি :


আগামী ১৫ নভেম্বরের পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হতে পারে। এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের স্বল্প পরিসরে শ্রেণি কার্যক্রম এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লেখাপড়া সামনে রেখে এ ধরনের চিন্তাভাবনা করছেন নীতিনির্ধারকরা। শিক্ষা এবং প্রথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রণারয়ের সংশ্লিষ্ট সুত্রে এমন আভাস পাওয়া গেছে। আগামী ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে সাধারন ছুটি চলছে। সূত্র জানায়, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ইঙ্গিত দিয়েছেন। এসব শিক্ষার্থীর মূল্যায়ন পরীক্ষা ফরম পূরনসহ আনুষাঙ্গিক কার্যক্রমও আছে। শিক্ষার্থীদের পরবর্তী ক্লাসে ভর্তি এবং উত্তীর্ণের বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ। এসব কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেছেন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। অপর দিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের ওপর মৌলিক সক্ষমতা তৈরিতে ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। স্কুল চালু করা সম্ভব হলে সেই সিলেবাস শেষে শিক্ষার্থীদের নতুন ক্লাসে তুলে দেয়ার চিন্তা করছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জানা গেছে, প্রাথমিক বিদ্যালয় ১ নভেম্বর থেকে ৩৯ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস বাস্তবায়ন করার কথা থাকলেও নতুন করে আরও ১৪ দিন ছুটি বৃদ্ধি করায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু করেছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা অ্যাকাডেমি (নেপ)। আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হলে সেটি কার্যকর হতে পারে। আর যদি তা সম্ভব না হয় তবে স্ব স্ব স্কুল নিজস্ব পদ্ধতিতে পঞ্চম শ্রেণিসহ সব ক্লাসের সনদ বিতরণ করবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেপের মহাপরিচালক মো: শাহ আলম মঙ্গলবার বলেন, নতুন করে ৩০ দিনের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। প্রাথমিকের প্রতিটি ক্লাসের সব বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো যুক্ত করে নতুন সিলেবাস হচ্ছে। এটি আগামী সপ্তাহে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *