শাল্লায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

সুনামগঞ্জের ভাটির উপজেলা শাল্লায় উজানের পানি নেমে এসে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে । এরই মধ্যে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন শত শত পরিবার। তলিয়ে গেছে নিচু এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি। বেশ কিছু পরিবার আশ্রয় নিয়েছেন বিদ্যালয়ে । গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন পানিবন্দি মানুষ। উজানের কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়িঢলের প্রভাব পরেছে হাওরপাড়ের এই উপজেলায়।
দাঁড়াইন নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার সকালে সরজমিনে দেখা যায়, পানি উপচে বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের বহু গ্রামে ই বন্যার পানি উঠে পরেছে। বানের পানিতে ভেসে গেছে অনেক মৎস্য চাষির পুকুরের মাছ। এবিষয়ে হবিবপুর ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের মৎস্য চাষি নিতেশ চৌধুরী বলেন বন্যার পানিতে তার পুকুর তলিয়ে ৫০ হাজার টাকার মাছ ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া চাকুয়া, উজান গাঁও, মুক্তারপুর, ভেড়াডহর, মামুদনগর, মুছাপুর, প্রতাপপুর
গ্রামের বেশ কয়েকজন মৎস্যজীবির পুকুরের মাছ ও ভেসে গেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে । বাহাড়া ইউনিয়নের নওয়াগাঁও গ্রামের নিতেশ দাস জানায় তার ৪ কেদার পুকুর তলিয়ে ৩ লাখ টাকার মাছ বন্যার পানি ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এঘটনায় তার পরিবার অসহায় হয়ে পরেছে বলে জানান।
রামপুর গ্রামের সুনীল দাস ও আনন্দপুর গ্রামের অরুণ দাস জানান বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পরেছে তারাসহ আশেপাশের পরিবারগুলো। শাল্লা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মামুনুর রহমান জানান, এপর্যন্ত উপজেলায় ৭ থেকে ১০টি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পেয়েছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান যাচাই বাচাইয়ের কাজ চলছে বলে তিনি জানান।
শাল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আল আমিন চৌধুরী জানান, পানিবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। মনিটরিং সেলের মাধ্যমে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় উপজেলা পরিষদ প্রস্তুত রয়েছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *