লেগানেসের লড়াই থামিয়ে মেসি-ফাতির গোলে স্বস্তির জয় বার্সার

করোনা পরবর্তী ফুটবলে মাঠে ফেরার পর প্রথম ম্যাাচটা বার্সেলোনাকে খেলতে হয়েছিল প্রতিপক্ষের মাঠে। ঘরের মাঠে তাই ‘ফেরাটা’ বাকি ছিল। এক লাখ ধারণক্ষমতার ন্যু ক্যাম্পের দর্শকশূন্য গ্যালারিতে ফেরাটা সহজ ছিল না বার্সেলোনার। রেলিগেশন লড়াইয়ে থাকা লেগানেস কঠিন পরীক্ষায় ফেলেছিল কাতালানদের। দুই অর্ধে আনসু ফাতি ও লিওনেল মেসির গোলে লেগানেসের লড়াই থামিয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে কিকে সেতিয়েনের দল।

আগের ম্যাচে সুযোগ না পাওয়া ১৭ বছর বয়সী আনসু ফাতির গোলে ৪২তম মিনিটে লিড নেয় বার্সেলোনা। ফাতি একটা গোল করলে একটা নতুন রেকর্ড হয়- এই যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। লীগের পঞ্চম গোল করে আরও একবার রেকর্ডবুকে নাম লিখিয়েছেন তিনি। এই শতাব্দীতে লা লিগায় অন্তত ৫ গোল করা দ্বিতীয় কনিষ্ঠ ফুটবলার তিনি। প্রথম জন সাবেক বার্সেলোনা স্ট্রাইকার বোয়ান কিরকিচ।

মেসি এ ম্যাচে নেমেছিলেন অসাধারণ দুটি মাইলফলককে সামনে রেখে।

এ জন্য আর্জেন্টাইন সুপার স্টারকে করতে হতো জোড়া গোল। ৬৯তম মিনিটে সফল স্পট কিকে ক্যারিয়ারের ৬৯৯ নম্বর গোলের দেখা পান মেসি। চলতি আসরে লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার এটি ২১ তম গোল। গোলের পর এক হাত কোমরে দিয়ে, আরেক হাতের তর্জনী উঁচিয়ে নতুন এক উদযাপন করেছেন মেসি। ক্যারিয়ারের ৬৯৯ তম গোলের পর অদ্ভুত উদযাপনে মেসি কী বুঝাতে চাইলেন তা তিনিই ভালো জানেন! ন্যু ক্যাম্পে মেসির গোল করা ও করানোর সংখ্যা দাঁড়াল ৪৯৯-এ।

দুই অর্ধে দুই গোল হজম করলেও প্রাণপণ লড়ে গেছে লেগানেস। দিনশেষে হারটা তারা মেনেছে সামর্থ্যের কাছে। এ নিয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ঘরের মাঠে টানা ৩৯ ম্যাচ অপরাজিত থাকলো বার্সেলোনা।

২৯ ম্যাচে ২০ জয় ও চার ড্রয়ে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নিজেদের অবস্থান সুসংহত করেছে বার্সেলোনা। ২৮ ম্যাচে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ আগামী বৃহস্পতিবার ঘরের মাঠে খেলবে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *