নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতজুড়ে চলা লকডাউনে আসামের বাগানগুলোয় চা উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। ব্যাহত হয়েছে রাজ্যটি থেকে পানীয় পণ্যটির সরবরাহ। এর জের ধরে আসামের রফতানিযোগ্য প্রিমিয়াম কোয়ালিটি চালের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েছে। এক বছর আগের তুলনায় বর্তমানে ১৫ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পানীয় পণ্যটি। খবর ইকোনমিক টাইমস।
ভারতীয় চায়ের অন্যতম শীর্ষ রফতানিকারক এশিয়ান টি কোম্পানির পরিচালক মোহিত আগারওয়াল জানান, মার্চে লকডাউন শুরুর পর থেকে আসামের চা বাগানগুলোয় দীর্ঘদিন পাতা সংগ্রহ ও চা উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। ১২ এপ্রিল থেকে যাবতীয় কার্যক্রম শুরু হলেও তা সীমিত পরিসরে চলছে। বাগান ও কারখানায় শ্রমিকদের সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে সৃষ্ট সংকটে আসামের বাগানগুলোয় চা উৎপাদন প্রায় ১৪ কোটি কেজি কমতে পারে।
পানীয় পণ্যটির মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে মোহিত আগারওয়াল বলেন, লকডাউনে আসামের রফতানিযোগ্য প্রিমিয়াম কোয়ালিটি চায়ের দাম এক বছর আগের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেড়েছে। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে পানীয় পণ্যটি রফতানি বাজার হারাতে পারে। বিশেষত ইরানে আসামের প্রিমিয়াম কোয়ালিটি চা সবচেয়ে বেশি রফতানি হয়। বছরে এর পরিমাণ সাড়ে চার কোটি কেজির বেশি। লকডাউনে দাম লাগামহীনভাবে বাড়লে ইরানি আমদানিকারকরা পানীয় পণ্যটি কেনা কমিয়ে দিতে পারেন। একই সঙ্গে আগামী দিনগুলোয় ইরানি আমদানিকারকদের যথাসময়ে পেমেন্ট পরিশোধ না করার পুরনো সমস্যা আসামের চা শিল্পের চ্যালেঞ্জ আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।