রাজনীতিতে আসছেন না শুভশ্রী

নির্বাচনী আবহে ভারতে দলে দলে তারকারা নাম লেখাচ্ছেন রাজনীতিতে। মানুষের জন্য কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ টলিপাড়ার নায়ক-নায়িকা থেকে পরিচালক, গায়িকারা। এই গড্ডালিকা প্রবাহে কি এবার গা ভাসাতে চলেছেন বাংলা ছবির জনপ্রিয় নায়িকা শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ও? প্রশ্নটা ওঠা অস্বাভাবিক নয়। কারণ ইতিমধ্যেই শাসকদলের পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন তার স্বামী তথা পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে সরগরম বঙ্গ রাজনীতি। তৃণমূল থেকে বিজেপি, প্রার্থী তালিকায় চমক দিতে ছাড়ছে না কোনও দলই। রাজনীতিতে পা দিয়েই টিকিট পেয়েছেন তারকারা। আবার দেখা গিয়েছে, একই পরিবারের দুই সদস্য নাম লিখিয়েছেন দুই পৃথক দলে।
তবে কি এবার স্বামীর পথে হেঁটে রাজনীতিতে পা রাখবেন শুভশ্রীও? বিজেপিতে দেখা যাবে নাকি তাকে? রাজ জানালেন, না। বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই শুভশ্রীর। বাম রাজনীতিতেও আসতে চান না তিনি। রাজের কথায়, ও রাজনীতি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না। তবে দিদিমণিকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) খুব ভালবাসে। ও জানে বাংলার উন্নয়ন কে করেছে। তবে বিজেপি কিংবা সিপিএমে ওকে দেখার সম্ভাবনা নেই। অভিনেত্রী কৌশানি মুখোপাধ্যায় এবার লড়বেন তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে। কিন্তু তার বয়ফ্রেন্ড বনি সেনগুপ্ত আবার নাম লিখিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। এ নিয়ে রাজের দাবি, স্রেফ টিকিটের লোভেই হয়তো পদ্মে যোগ দিয়েছেন বনি। বলে দেন, মা আর গার্লফ্রেন্ড যেখানে একটা দলে সেখানে ও অন্য দলে চলে গেল অদ্ভুতভাবে। কোনও দলই আর ওকে বিশ্বাস করতে পারবে না। আমার মতে এটা ভুল সিদ্ধান্ত। এই প্রসঙ্গে উঠে এল নুসরাত ও যশ দাশগুপ্তর কথাও। কারণ টলিপাড়ায় কান পাতলেই নায়ক-নায়িকার প্রেমের খবর শোনা যাচ্ছে। একজন তৃণমূলে আর অন্যজন বিজেপির মুখ। তবে কি যশও ভুল সিদ্ধান্ত নিলেন? এ প্রশ্ন অবশ্য খানিকটা এড়িয়ে যাওয়ারই চেষ্টা করলেন রাজ। বলেন, এটা অনেক বড় ব্যাপার। পৃথিবীর বাইরের ব্যাপার। আচ্ছা ওদের মধ্যে সত্যিই কি কোনও সম্পর্ক আছে? কে জানে বাবা। এই এক প্রশ্নেই গুঞ্জন উসকে দিলেন তিনি। বারাকপুরে এবার বিজেপির বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই রাজের। অর্জুন সিংয়ের ডেরায় হাড্ডাহাড্ডি যুদ্ধ তো বটেই, হিংসা, হানাহানি, বোমাবাজির আশঙ্কাও রয়েই যাচ্ছে। রাজ অবশ্য সব ধরনের পরিস্থিতির জন্যই প্রস্তুত। অর্জুন সিংকে ‘মাফিকা’ সম্বোধন করে হুঙ্কার দেন, ওকে বুঝিয়ে দেব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারাকপুরে যাকে-তাকে দাঁড় করাননি। আমায় যাকে-তাকে বলার উত্তর মিলবে ২ মে। ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়ে দিদিমণিকে উপহার দিতে চাই।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *