যুক্তরাষ্ট্র ও চীন থেকে দ্রুত টিকা পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে দ্রুত টিকা পাবে বাংলাদেশ। আর টিকার দাম প্রকাশ নিয়ে চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ঘাটতি হয়নি। এছাড়া টিকা আনতে রাশিয়ার সঙ্গেও চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি, খুব তাড়াতাড়ি হবে।

গতকাল ঢাকায় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ইগনাতভের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ শেষে এসব জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, রাশিয়া থেকে দ্রুত ৫ মিলিয়ন করোনার টিকা স্পুটনিক ভি আমদানি করতে আগ্রহী বাংলাদেশ। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। অনুমোদন পেলে বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানি রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে টিকা উৎপাদন করতে পারবে।

চীনের টিকার দাম প্রকাশ করা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টিকা কেনা হবে প্রতিষ্ঠান থেকে। চীন সরকার এর মধ্যে মধ্যস্থতার কাজ করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যেমন মধ্যস্থতার কাজ করছে। কূটনৈতিকভাবে আমরা একমত যে, বাংলাদেশ টিকা কিনতে চায় আর চীন সরবরাহ করতে চায়। আমরা বলেছি, আমাদের টিকার সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য। এ বিষয়ে এখনো কোনো পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কি করে না করে, তা তারা সিদ্ধান্ত নেবে। কিন্তু কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

চীনের সঙ্গে টিকা উৎপাদনের চুক্তির বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এ নিয়ে বিস্তারিত আমার কাছে নেই। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, বিষয়টি প্রতিষ্ঠান ঠিক করবে। প্রতিষ্ঠানের লোকজন এসে বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা যাচাই করবে। বিষয়টি চীনা প্রতিষ্ঠান সিদ্ধান্ত নেবে। সরকার এ বিষয়ে কিছু জানে না।

রাশিয়ার টিকা প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি হবে। কবে হবে সেটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলতে পারবে। আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিয়েছি। এখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়দায়িত্ব। রাশিয়ার সঙ্গে দুটি চুক্তি হচ্ছে। আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। রাশিয়ার সঙ্গে টিকা ক্রয় ও যৌথ উৎপাদনের বিষয়ে নীতিগতভাবে আমরা সম্মত। বাকি হিসাব-নিকাশ যদি ঠিক থাকে, তাহলে হবে।

অন্য দেশগুলো থেকে টিকা পাওয়া প্রসঙ্গে ড. মোমেন বলেন, এর বিস্তারিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে। কখন আসবে, কত টাকায় আসবে, কতটুকু আসবে তা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। ভালো খবর হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের টিকা দেবে। আমরা আশা করছি, শিগগিরই তারা আমাদের টিকা দেবে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে কী পরিমাণ টিকা আসবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সঠিক সংখ্যাটি আমাদের বলেনি। আমাদের করোনা মোকাবেলায় সাফল্যের কারণে প্রথমে তারা টিকা দিতে চায়নি। আমাদের মানুষ কম মারা গিয়েছে। এখন বেশ কষ্ট করে তাদের রাজি করিয়েছি আমাদের টিকা দিতে।

উল্লেখ্য, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ঢাকায় তার কার্যকালের মেয়াদ শেষ করে আগামীকাল রাশিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। বিদায়ী সাক্ষাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাশিয়া থেকে দ্রুত করোনার টিকা আমদানির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *