যারা স্ট্রাগল করছেন তাদের স্যালুট জানাই -সৈয়দ শহীদ

জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সৈয়দ শহীদ। ‘এক জীবন’, ‘এক জীবন টু’, ‘ভাবনা নদী’সহ ধারাবাহিকভাবে বেশ কিছু জনপ্রিয় গান তিনি উপহার দিয়েছেন। নিজের ব্যান্ড দূরবীনের মাধ্যমেও তার গাওয়া গানগুলো প্রশংসিত হয়েছে শ্রোতামহলে। তবে গানে তেমন একটা নিয়মিত নন শহীদ। তার মূল পেশা ব্যবসা। সময়-সুযোগ পেলেই গানে মনোযোগী হয়ে পড়েন। করোনাকালের শুরু থেকে বেশিরভাগ সময় শহীদ কাটিয়েছেন নিজ দেশের বাড়ি চট্রগ্রামে। সেখানে পরিবারের সঙ্গেই সময় কেটেছে তার।
আবার মাঝেমধ্যে বিভিন্ন গান গেয়ে তার ভিডিও প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সব মিলিয়ে কেমন চলছে দিনকাল? শহীদ উত্তরে বলেন, আসলে করোনা পরিস্থিতি সব এলোমেলো করে দিয়েছে। কয়েকজন স্বজন হারিয়েছি। আমার মেজো বোন মারা গেছেন করোনায়। ছোট বোনের স্বামীকেও হারিয়েছি। তাছাড়া অনেকে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপরও নিজেকে ও পরিবারকে উজ্জিবীত রাখার চেস্টা করেছি। বেশিরভাগ সময় বাসাতেই ছিলাম। তবে কয়েকদিন হলো ঢাকায় এসেছি। অফিস করছি। স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছি। তবে যাই করি না কেন আমরা, অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা উচিত। গানের কি অবস্থা? শহীদ উত্তরে বলেন, গতকাল আমাদের দূরবীন ব্যান্ডের মিটিং ছিলো। আমরা মোট ৭ টি গান করেছি নতুন। এগুলো অ্যালবাম আকারে প্রকাশের ইচ্ছে আছে। তবে সবই নির্ভর করবে করোনা পরিস্থিতির ওপর। কারণ ডিসেম্বরে আমাদের ব্যান্ডের জন্মদিনে অ্যালবামটি করতে চাই। দেখা যাক পরিস্থিতি কি দাড়ায়। তবে আপাতত গানগুলোর ভিডিও করার পরিকল্পনা করছি। ব্যান্ডের বাইরে সলো নতুন গান কি করছেন? শহীদ উত্তরে বলেন, নতুন কয়েকটি গান তৈরি আছে। সেগুলো হয়তো প্রকাশ হবে সামনে। তবে এখন ব্যান্ডের গানগুলো নিয়েই ভাবছি। ব্যান্ডের গান আমাকে চিয়ারআপ করে। তাই অন্যরকম একটা আবেগ-ভালোবাসা খুজে পাই ব্যান্ডের গানে। করোনায় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা ভালো নেই। এখান থেকে উত্তরণ কিভাবে সম্ভব বলে মনে করেন? শহীদ বলেন, এখান থেকে উত্তরন কঠিন ব্যাপার। তবে সেলফোন কোম্পানিগুলোর এগিয়ে আসা উচিত সংগীতের উন্নয়নে। করোনায় অনেক শিল্পী-মিউজিশিয়ান খারাপ অবস্থায় পড়েছেন। এখনও অনেকে স্ট্রাগল করছেন। তবে যারা স্ট্রাগল করে টিকে থাকার চেষ্টা করছেন তাদের স্যালুট জানাই। কারণ সংগীতকে ভালোবেসে তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতি কবে যাবে, কবে স্টেজ শো শুরু হবে তার কোনো ঠিক নেই। তাই বিশেষ করে স্টেজের শিল্পী-মিউজিশিয়ানদের টিকে থাকাটা এখন চ্যালেঞ্জের বিষয়।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *