টাইগারদের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সামনে ইতিহাস বদলের হাতছানি। এই সিরিজে তার হাতে শুধু দলেরই নয় ব্যক্তিগত অর্জনেরও দারুণ হাতছানি। টানা দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৬ ম্যাচ জিতে তিনি স্পর্শ করেছেন দেশের সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। অধিনায়ক হিসেবে দু’জনই দেশকে এনে দিয়েছেন ১০টি করে জয়। আজ থেকে শুরু হতে যাওয়া সিরিজে তার সবাইকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এখনো টি-টোয়েন্টি টাইগারদের নেই একটিও জয়। ১০ বার মুখোমুখি হয়ে সবগুলোতেই হার। তবে ৯টি ম্যাচই টাইগাররা মুখোমুখি হয়েছিল বিদেশের মাটিতে।
শুধু ২০১৩-তে একটি ম্যাচ দেশের মাটিতে খেলার সুযোগ হয়েছিল। সেটি হারে ১৫ রানের ব্যবধানে। তবে এবার দেশের মাটিতে টাইগারদের সুযোগ সেই শূন্যের ইতিহাস পরিবর্তনের। এছাড়াও টাইগার অধিনায়ক হিসেবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সামনে সুযোগ র্যাঙ্কিং পরিবর্তনেরও। আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান দশম স্থানে আফগানদের পরে। তবে এই সিরিজ জিতলে ৩ ধাপ উন্নতি ও হোয়াইটওয়াশ করতে পারলে ৫ নম্বরে চলে আসবে বাংলাদেশ দল।
সব মিলিয়ে রিয়াদের সামনে দারুণ প্রত্যাশার চাপ। চ্যালেঞ্জ নিতে পারবেন তো! এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যাশা সব সময়ই থাকবে। প্রত্যাশার জায়গা এভাবেই তৈরি হয়েছে। যখন আমরা হোম কন্ডিশনে খেলি যেকোনো দলের সঙ্গেই ভেরি মাস কম্পিটিটিভ। আমরা চেষ্টা করি আমাদের কন্ডিশন ইউজ করে নিজেদের পক্ষে ফলাফলটা আনতে। আমি একটা জিনিসই মনে করি প্রতিটা সুযোগ ভেল্যু করা গুরুত্বপূর্ণ। ইন্ডিভিজ্যুয়ালি এবং দল হিসেবেও। আমার মনে হয় যদি ভাবি প্রতিটা সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। ওইভাবে চিন্তা করলে আমাদের জন্য ইজি হবে।’ এছাড়াও অনভিজ্ঞ কিউদের নিয়ে পরিকল্পনাও দারুণ কঠিন টাইগারদের জন্য। দলে একমাত্র ক্রিকেটার টম ল্যাথাম যিনি ২০১৩-তে বাংলাদেশ সফরে এক মাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন। বলার অপেক্ষা রাখে না অচেনা প্রতিপক্ষ কতটা ভয়ঙ্কর। কতটা প্রস্তুত টাইগার অধিনায়ক? নিউজিল্যান্ড এই দল নিয়ে হোমওয়ার্ক বিষয়ে রিয়াদ বলেন, ‘আমার মনে হয় ওরা খুব ভালো একটা দল। একটু আগে যেটা বললাম, নিউজিল্যান্ড এমন একটা দল যারা খুব ভালো হোমওয়ার্ক করে। এবং খুব ডিসিপ্লিনিড। ওরা যে প্ল্যান করে সেই প্ল্যানেই সব সময় ঠিক থাকার চেষ্টা করে। ওদের সঙ্গে আমাদের ভালো খেলতে হলে ডিসিপ্লিনিড ক্রিকেট খেলতে হবে। আমার মনে হয় আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। মিরপুরের উইকেটের কন্ডিশনে মানিয়ে নেয়াটা গুরুত্বপূর্ণ। ব্যাটিং করি বা বোলিং করি। এই জিনিসগুলো আর্লি করলে দলের জন্য ভালো।’