মামুনুল হকের আগমনকে কেন্দ্র করে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে পুলিশ-আয়োজক

সুনামগঞ্জের ছাতকে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের আগমন নিয়ে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও ইসলামী সম্মেলনের আয়োজকরা।এতে ছাতকে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সুনামগঞ্জের ছাতকের জামিয়া ইসলামিয়া হাফিজিয়া দারুল কোরআন মৈশাপুর মাদ্রাসায় মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের আগমনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহণ করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। আয়োজনকারীরা বলছেন, সব ধরনের বাধা-বিপত্তি ডিঙিয়ে ইসলামী মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে প্রস্ততি সম্পন্ন করা হয়েছে।তাকে সুরক্ষা দিতে স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করা হয়েছে।

তবে পুলিশ বলছে, বিতর্কিত মাওলানা মামুনুল হকের আসার বিষয়ে কোনো অনুমতি নেয়নি মাদ্রাসা কতৃপক্ষ। তাই কেউ আইন অমান্য করলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কৈশোর, যৌবনের প্রেমে বিচ্ছেদের বিরহ কি জীবনের প্রৌঢ়ত্বেও মানুষকে সমান কষ্ট দেয়? ≣ [১] প্রবাসীদের প্রতি এনআরবি’র চেয়ারপারসন সেকিল চৌধুরীর চিঠি ≣ [১] অস্ট্রেলিয়াকে হোয়াইটওয়াশ করলো দক্ষিণ আফ্রিকা

সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার জামিয়া ইসলামিয়া হাফিজিয়া দারুল কোরআন মৈশাপুর মাদ্রাসার ৪৩তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এজন্য পোস্টার-ব্যানার টাঙিয়ে প্রচার-প্রচারণা করেছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে মৈশাপুর গ্রামে আয়োজনকারীদের সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বৈঠকে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষে সার্বিক বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজিম উদ্দিন।

এ ব্যাপারে মাদ্রাসার মুহতামিম হাফিজ মাওলানা আব্দুস সামাদ বলেন, ‘ইসলামী মহাসম্মেলন সফল করার লক্ষে দুই শতাধিক যুবককে নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত করা হয়েছে।সম্মেলনের সব প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার জুমা নামাজ শেষে থানার ওসির সঙ্গে আলোচনা করে প্রশাসনের অনুমতি চাওয়া হয়েছে।’ স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমোদন পাবেন বলে তিনি আশাবাদী।

ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘মাদ্রাসার মাহফিল করতে কোনো বাধা বা নিষেধ নেই। তবে মাওলানা মামুনুল হক আসার বিষয়ে কোন অনুমতি নেই। অনুমতি ছাড়া যদি মামুনুল হক আসেন তাহলে সেটা আইনগতভাবে ব্যবস্থা করা হবে।’

উল্লেখ্য, মাওলানা মামুনুল হক রাজধানীর দোলাইখালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য স্থাপনে বিরোধিতা করে আলোচিত ও সমালোচিত হন। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব নির্বাচিত হওয়ার পরপরই সংগঠনটির প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আজমদ শফির মৃত্যুর জন্য দায়ী করে অন্য ৩৫ জনের সঙ্গে তাকেও আসামি করা হয়।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *