‘ভি-শেপ’ পুনরুদ্ধার নিয়ে আশাবাদী মরগান স্ট্যানলির অর্থনীতিবিদরা

বিশ্ব অর্থনীতি বর্তমানে সম্প্রসারণের পর্যায়ে রয়েছে। চলতি বছরের চতুর্থ প্রান্তিক নাগাদ অর্থনৈতিক উৎপাদন করোনা-পূর্ব অবস্থানে ফিরে যেতে পারে। মার্কিন বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠান মরগান স্ট্যানলির অর্থনীতিবিদরা এমন পূর্বাভাস জানিয়েছেন। খবর ব্লুমবার্গ।

প্রতিষ্ঠানটির একদল অর্থনীতিবিদ তাদের মিড-ইয়ার আউটলুক রিসার্চ নোটে বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে প্রবৃদ্ধির তথ্যে আশ্চর্য উত্থান ও ইতিবাচক নীতিগত পদক্ষেপের ধারাবাহিকতা দেখে ভি-শেপ রিকভারির বিষয়ে আমাদের আস্থা আরো জোরালো হয়েছে।’

বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি তাদের পূর্বাভাসে বলেছে, চলতি বছর বিশ্বের ৯০ শতাংশের বেশি অর্থনীতিকে মন্দায় পড়তে হতে পারে। স্বল্প সময়ের জন্য কিন্তু বড় ধরনের সংকোচনের পূর্বাভাস জানিয়ে অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, দ্বিতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক জিডিপিতে বছরওয়ারি ৮ দশমিক ৬ শতাংশ পতন দেখা যেতে পারে। তবে আগামী বছরের প্রথম প্রান্তিক নাগাদ প্রবৃদ্ধির হার ৩ শতাংশে উন্নীত হতে পারে।

কেন অর্থনৈতিক সংকোচনের মেয়াদ সংক্ষিপ্ত হবে, সে বিষয়ে মরগান স্ট্যানলির অর্থনীতিবিদরা তিনটি যুক্তি তুলে ধরেছেন। প্রথমত, এ সংকোচন অর্থনীতির অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যার কারণে হচ্ছে না। এটি পুরোপুরি বাহ্যিক প্রভাবক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। অর্থাৎ যে সংকোচন দেখা যাচ্ছে, তা অর্থনৈতিক ব্যবস্থার চরম ভারসাম্যহীনতার কারণে নয়। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে তারা বলছেন, অন্যান্য আর্থিক সংকটের চেয়ে এবার ডিলিভারেজিংয়ের চাপ অনেক সহনীয় পর্যায়ে থাকবে। আর তৃতীয় কারণ হলো, সংকট মোকাবেলায় এখন পর্যন্ত যেসব নীতিগত সহায়তা দেয়া হয়েছে, সেগুলো অনেক কার্যকর ও পর্যাপ্ত এবং তা উত্তরণের গতি ত্বরান্বিত করতে সহায়ক হবে।

মরগান স্ট্যানলির অর্থনীতিবিদরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও অর্থ মন্ত্রণালয়গুলো উভয়েই তাদের নিজ নিজ আর্থিক ব্যবস্থায় তারল্য সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে প্রণোদনা দিচ্ছে। আর এসব পদক্ষেপ সহসা বন্ধ হবে না বলেই আশা করা যাচ্ছে।

নিজেদের নোটে অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, আশার পাশাপাশি কিছু ঝুঁকিও দেখছেন তারা। আর এ ঝুঁকি হলো নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ ফিরে আসার এবং কার্যকর ও প্রমাণিত প্রতিষেধক আবিষ্কারে দেরি হওয়ার।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *