ভিয়েতনামের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রায় ৮৭ শতাংশই কভিড-১৯ মহামারী দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে, বাকিরা বলেছে তারা মহামারীর প্রভাব তেমন একটা টের পায়নি। খবর ভিয়েতনাম টাইমস।
ভিয়েতনামের ব্যবসা-বাণিজ্যে কভিড-১৯ মহামারীর প্রভাব নিয়ে সম্প্রতি এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ভিসিসিআই) ও ভিয়েতনামের বিশ্বব্যাংক অফিস। দেশব্যাপী ১০ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর পরিচালিত জরিপ অনুসারে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
সার্ভেতে দেখা গেছে, যেসব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বয়স তিন বছরেরও কম, ক্ষুদ্র, ছোট আকারের এবং বিশেষ করে গার্মেন্ট টেক্সটাইল, যোগাযোগ ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি তৈরির কোম্পানি মহামারীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হয়েছে। এছাড়া এফডিআই ফার্মসহ রিয়াল এস্টেট, ইনফরমেশন কমিউনিকেশনস, কৃষি ও মৎস্য চাষ খাতও কভিডের প্রভাব মারাত্মকভাবে টের পেয়েছে।
উত্তরদাতারা বলেছেন, কভিড-১৯-এর কারণে তাদের জন্য ক্রেতা খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া মহামারীটি তাদের মূলধন ও শ্রমিকদের ওপরও বড়সড় প্রভাব ফেলে এবং সরবরাহ চেইন বিঘ্নিত করে। ৬৫ শতাংশ বেসরকারি ফার্ম ও ৬২ শতাংশ এফডিআই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের গত বছরে রাজস্ব কমেছে।
যদিও মহামারীর সময় সরকার কর্তৃক প্রদত্ত প্রণোদনা আর সাহচর্যের প্রশংসা করেন ব্যবসায়ীরা, বিশেষ করে আর্থিক নীতি প্রশংসিত হয়। তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশই বলছেন, এমন ব্যবসাবান্ধব নীতি তাদের অনেক উপকৃত করেছে।
করোনার ক্ষত কাটিয়ে ভবিষ্যতে ব্যবসাবান্ধব ও টেকসই পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রশাসনিক সংস্কার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাজে গতি আনার দাবি তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।
ভিসিসিআই চেয়ারম্যান ভু তিয়েন লক বলেছেন, মহামারীর মধ্যে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান শিখেছে কীভাবে কঠিন পরিস্থিতি অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যেতে হয়। অনেকেই পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন দারুণভাবে, তারা কোম্পানিতে পুনর্গঠন এনেছেন এবং কর্মীদের সময়োপযোগী ট্রেনিং দিয়ে গড়ে তুলেছেন।