ব্যাংকিংয়ে নৈতিকতার চর্চা গুরুত্বপূর্ণ — বিআইবিএমের অনুষ্ঠানে গভর্নর

ব্যাংকিংয়ে নৈতিকতার চর্চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে পরিচালনা পর্ষদ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ভূমিকা পুরো ব্যাংকের পারফরম্যান্সের ওপর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় স্বাধীন ও নিরপেক্ষ ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেয়া এবং তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে তা আদর্শ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক সেমিনারে গতকাল এমন মন্তব্য করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির।

২০তম নুরুল মতিন মেমোরিয়াল লেকচার ‘ইথিকস ইন ব্যাংকিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানটি বিআইবিএমের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএম গভর্নিং বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির। এছাড়া বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান ও সহযোগী অধ্যাপক ও পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন এবং পরামর্শ) ড. আশরাফ আল মামুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে গভর্নর বলেন, ব্যাংকিং খাতের যেসব আন্তর্জাতিকমানের চর্চাগুলোর আলোকে বাংলাদেশের ব্যাংক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব ও কর্তব্য আলাদা করে দেয়া হয়েছে, সে কারণে ব্যাংকিং খাতে করপোরেট গভর্নেন্সের চর্চা সম্ভব হয়েছে।

মূল প্রবন্ধে ড. সাদিক আহমেদ বলেন, ব্যাংকিং নৈতিকতার বিভিন্ন দিক রয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ব্যাংকিং গভর্নেন্স। ১৯৯৮ সালে শুরু হওয়া সংস্কার কর্মসূচির আগে, ব্যাংকিং সেক্টরের প্রশাসন খুবই দুর্বল ছিল। এখন ব্যাংকিং নৈতিকতা আগের চেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে। এ সময়ে ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নে আইন-কানুন, নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। এর মাধ্যমে ব্যাংকিং খাতের সামগ্রিক অবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়েছে।

বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, বিআইবিএম প্রতি বছর এএফএম নুরুল মতিন স্মরণে মর্যাদাপূর্ণ স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *