বিশ্বব্যাপী ইকো-সিস্টেম তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে অপো

২০০৪ সালে যাত্রার পর থেকে বিশ্বব্যাপী টেকসই ইকো-সিস্টেম তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে অপো।

পরোক্ষভাবে কার্বন গ্যাস নির্গমন হ্রাস, রিসাইক্লিং, প্লাস্টিক, পানি ও বিদ্যুতের ব্যবহার কমানো, নবায়নযোগ্য ফাইবারের ব্যবহার এসব কিছুই ইকো সিস্টেমের অংশ।
তাছাড়া কোটি কোটি গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে অপো। এজন্য স্বীকৃতি স্বরূপ আইএসও, ট্রাস্টআর্ক ও ইপ্রাইভেসি থেকে সনদও পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

অপো জানায়, তারা সার্কুলার ইকোনমির অংশ হিসেবে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে ১৩ গুণ বেশি রি-সাইকেল করেছে। ২০২০ সালে আগের বছরের চেয়ে পানি ও বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়েছে যথাক্রমে ২৫.৮ ও ১২.৪ শতাংশ। একই সময় বর্জ্য ও পরোক্ষ গ্রিন-হাউজ গ্যাস নির্গমন কমানো হয়েছে যথাক্রমে ৪২.৭ ও ২০ শতাংশ।

অপো আরও জানায়, তাদের ফোনগুলোতে ৩৫ শতাংশ রি-সাইকেল প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয়। ৪৫ শতাংশ নবায়নযোগ্য ফাইবার থেকে তৈরি করা হয় প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়্যালস। ইউরোপে রেনো২ এর তুলনায় রেনো৩ এর প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো হয়েছে ৯০ শিতাংশ। আর রেনো২ এর তুলনায় রেনো৩ এ প্যাকেজিং ওজন কমেছে ২৪ শতাংশ।

তাছাড়া অপো এমনভাবে মডিউলার ডিজাইন করে থাকে যাতে যেকোনো পণ্য সহজে মেরামত ও রিপ্লেস করা যায়। পণ্যগুলো যাতে দীর্ঘস্থায়ী হয় তাই ফ্রি-সিস্টেম ও সফটওয়্যার আপগ্রেড সার্ভিস সরবরাহ করা হয়।

এছাড়া নিজেদের কর্মীদের জন্য শুধুমাত্র ২০২০ সালে ৬ লাখ ৭০ হাজার ঘণ্টার বেশি শিক্ষামূলক সেশন ও প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে অপো। এমনকি চলমান করোনা মহামারির মধ্যে অপো মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে। যেমন ফিলিপাইনে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিশুরা যাতে শিক্ষা বঞ্চিত না হয় সেজন্য বিশ্বখ্যাত ‘সেইভ দ্য চিলড্রেন’ এর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছে অপো। থাইল্যান্ডে মেডিক্যাল কর্মীদের মধ্যে অপো ২০ হাজারের বেশি এন৯৫ মাস্ক ও ১৩টির বেশি হাসপাতালে মেডিক্যাল কিট বিতরণ করেছে। তাছাড়া ক্যাম্পাস গ্লোবাল ইমার্জিং আর্টিস্ট প্রজেক্ট রেনোভেটর প্রেগামের মতো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী সংস্কৃতি চর্চায় অবদান রাখছে অপো। এসব কিছুই অপোর গ্লোবাল ইকো-সিস্টেমের অংশ।

এ সম্পর্কে অপো’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টনি চেন বলেন, অপো যাত্রার পর থেকে এর গ্রাহক, কর্মকর্তা ও পার্টনারদের জীবনমান উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সঙ্গে পরিবেশ, সমাজ নিয়েও ভাবে অপো। উদ্ভাবনের মাধ্যমে গ্রাহকদের সর্বোচ্চ মানের পণ্য নিশ্চিতে বিশ্বব্যাপী কাজ করছে অপো যাকে ‘ইন্টারনেট অব এক্সপেরিয়েন্স’ বলা হয়।

তিনি বলেন, অপোর ব্র্যান্ড মিশন হচ্ছে ‘মানবজাতির জন্য প্রযুক্তি, বিশ্বের জন্য মহানুভবতা’।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *