এই করোনাকালে মেস ভাড়া পরিশোধ নিয়ে বিপাকে পড়েছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) প্রায় ১০ হাজার অনাবাসিক শিক্ষার্থী। গত মার্চ মাস থেকে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর টিউশন কিংবা খ-কালীন চাকরি বন্ধ হওয়ায় এই দুর্ভোগ। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, মেস মালিকরা নানা ভাবে তাদের চাপ দিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নবীনবাগে মেসে থাকা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের মেসের মালিক প্রতিনিয়ত ফোন দিয়ে বিদ্যুৎ বিলসহ ভাড়া চাচ্ছেন। বলছেন, হয় ভাড়া দাও, নইলে এখনই মালামাল নিয়ে যাও। ভাড়ার একটাও ছাড় দিতে রাজি নন তিনি।
একই অভিযোগ গোপালগঞ্জ শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভাড়ায় থাকা শিক্ষার্থীদের।
এদিকে মেস ভাড়ার সমস্যা সমাধানের জন্য গত ৭ মে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটি গঠনের এক মাস পার হলেও তেমন অগ্রগতি না দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন ভোগান্তিতে পড়া শিক্ষার্থীরা।
গঠিত কমিটির সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. রাজিউর রহমান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বাড়ির মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছি। বিষয়টি মানবিক, তাই কাউকে চাপ প্রয়োগও করা যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের কয়েকটি এলাকার মেস ভাড়া ইতিমধ্যে ৪০ শতাংশ মওকুফের ব্যবস্থা করা হয়েছে। করোনার প্রকোপ বাড়াতে আমরা সকলের সঙ্গে দ্রুত আলোচনাও করতে পারছি না। তবে আশা করি শীঘ্রই বিষয়টির সমাধান আসবে।