বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে কয়েকটি বাসে আগুন দেয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে কাদের বলেন, হঠাৎ নাশকতা প্রমাণ করে বিএনপি তাদের চিরাচরিত সন্ত্রাসী পন্থা পরিহার করতে পারেনি, তাদের তাদের নীলনকশা অনুযায়ী চলতে দিতে হবে? সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে দিতে হবে?
সেতুমন্ত্রী গতকাল ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই, বিএনপির এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। বৈশ্বিক মহামারী করোনার এ মানবিক সংকটের ভেতরেও তাদের ধারাবাহিক নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে। অতীতের ন্যায় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ এ ধরনের সব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত আছে।
তিনি বলেন, তাদের এ ধরনের সন্ত্রাসী চরিত্র নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের কারণে জনগণ তাদের বারবার প্রত্যাখ্যান করেছে। নিরীহ মানুষের জীবন সম্পদহানির মাধ্যমে যারা ত্রাসের রাজত্ব কায়েমের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার অপচেষ্টা চালাবে, এটা তাদের পুরনো অভ্যাস।
কাদের বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হত্যা ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করে ক্ষমতা দখল করেছিল এবং রাজনীতিতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন চালিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল। এখনো বিএনপি কোনো ধরনের গণতান্ত্রিক নিয়ম-কানুন, বিধিনিষেধ তোয়াক্কা না করে তাদের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছে। গতকালের (বৃহস্পতিবার) ঘটনা সেটাই প্রমাণ করে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সবুর, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী ও আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, ঢাকা-১৮ আসনের নবনির্বাচিত এমপি হাবিব হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।