বাসার বৈঠকখানায় নাটকের রিহার্সাল হতো -শর্মিলী আহমেদ

দেশের বরেণ্য অভিনেত্রী শর্মিলী আহমেদ। করোনার কারণে দীর্ঘ বিরতি নিয়েছিলেন শুটিংয়ে। বর্তমানে এনটিভির জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ এর শুটিং শুরু করেছেন তিনি। শর্মিলী মানবজমিনকে বলেন, করোনার জন্য শুটিং করিনি এতোদিন। ঘরে থাকতে থাকতে একঘেয়েমি চলে আসে। কাজ ছাড়া অস্থির লাগছিল। পাঁচ মাস পর ১২ই আগস্ট থেকে ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’ ধারাবাহিকের শুটিং শুরু করেছি। নাটকটির আরো ১০০ পর্বের কাজ হবে।
এই সময়ে শুটিং করাটা ঝুঁকির মনে হচ্ছে কী? উত্তরে এ অভিনেত্রী বলেন, ঝুঁকি তো আছেই। তবে কতদিন কাজ ছাড়া থাকবো। কবে করোনা শেষ হবে তার তো ঠিক ঠিকানা নেই। তবে শুটিং সেটের সবাই সাবধানতার সাথেই কাজ করছে। শট দেয়ার পর সবাই মাস্ক পড়ছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করছে। চলচ্চিত্রে কাজ কি কম করছেন? উত্তরে শর্মিলী বলেন, চলচ্চিত্রে কাজ কম করছি। নাটকই করছি বেশি। করোনার আগে মীর সাব্বিরের পরিচালনায় ‘রাত জাগা ফুল’ শিরোনামের একটা অনুদানের চলচ্চিত্রে অথিতি চরিত্রে কাজ করেছি। অভিনয়ের সব মাধ্যমেই কাজ করেছেন। কোন মাধ্যমে কাজ করতে ভালো লাগে বেশি? উত্তরে তিনি বলেন, বেতারে কাজ করে অন্যরকম মজা। কণ্ঠ দিয়ে অভিনয় বোঝাতে হয়। টেলিভশন আর চলচ্চিত্রের কাজ তো মোটামোটি এক। মঞ্চের কাজের আনন্দ আবার অরেক রকম। একেকটা মাধ্যমের ধারা একেক রকম। আমি প্রতিটি মাধ্যমে কাজ করেই আনন্দ পাই। ৭০/৮০ দশকের শোবিজ আর এখনকার শোবিজের মধ্যে কী পার্থক্য দেখেন? শর্মিলী বলেন, তখন একটা পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। মানে চলচ্চিত্র ছোট একটা ইন্ডাস্ট্রি ছিল। আমরা পরিবারের মতো ছিলাম। আর হাতেগোনা শিল্পী ছিল, বিটিভিতে খুব কড়াকড়ি ছিল। অডিশন দিয়ে পাশ না করলে অভিনয় করা যেত না। এখন সেসব কমে গেছে। সময়ের সঙ্গে অনেক কিছুর পরিবর্তন হবে। সেগুলো মেনে নিতে হবে। অভিনয়ে আসার অনুপ্রেরণা বিষয়ে শর্মিলী বলেন, আমার বাবা অভিনেতা ও নাটকের প্রযোজক ছিলেন। মা সেতার বাজাতেন। চাচা-ফুফুরা সবাই গান বাজনা করতেন। আবার কেউ কবিতা লিখতেন, কেউ গান লিখতেন। পরিবারের সবাই শিল্পমনা ছিল। তখন আমাদের বাসার বৈঠকখানায় নাটকের রিহার্সাল হতো। চার বছর বয়স থেকে শিশুশিল্পী হিসেবে মঞ্চে কাজ শুরু করি। অভিনয়ের কিছুই বুঝতাম না। পরিবারের অনুপ্রেরণাতেই অভিনয়ে আসা। প্রথমে মঞ্চে, তারপর বেতারে, টেলিভিশনে ও চলচ্চিত্রে। ক্যারিয়ার নিয়ে কোনো আক্ষেপ আছে? শর্মিলী উত্তরে বলেন, অভিনয় করে আনন্দ পাই। অভিনয় যখন ভালো না হয় তখন আক্ষেপ লাগে। নিজের কাছে কখনও কখনও কিছু চরিত্র ভালো লাগে না। তাও সম্পর্কের খাতিরে করতে হয়। মনের মতো অভিনয় যখন করতে পারি না তখনই খারাপ লাগে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *