বাজেটে শ্রমজীবীদের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি

কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে পুরো বিশ্বের অর্থনীতি আজ ঝুঁকির মুখে পড়েছে; বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। এ বাস্তবতায় দেশের আর্থিক ক্ষতি সারানোসহ কথিত মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষার চ্যালেঞ্জ সামনে নিয়ে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে নতুন অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট উত্থাপিত হয়েছে।

বরাবরের মতো ইতোমধ্যে বাজেটের পক্ষে-বিপক্ষে বিভিন্ন মতামত শোনা যাচ্ছে।

সরকারি দল, তাদের শরিক এবং সরকারসমর্থক পণ্ডিতরা বাজেটের প্রশংসায় জাবর কাটলেও অন্যরা সভা-সমাবেশে প্রতিবাদমুখর। অধিকাংশজনই বাজেট পর্যালোচনাতে কেবল নিজেদের প্রাপ্তি আর অপ্রাপ্তির আবর্তে ঘুরপাক খেয়ে অর্থনৈতিক হিসাবনিকাশে ব্যস্ত থাকছেন।

তাদের পর্যালোচনাতে শ্রেণি ও সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি অনুপস্থিত থাকায় বাজেটের অন্তর্নিহিত মর্মবস্তু থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।

বর্তমান ও বিগত বছরগুলোতে বাজেটে ঋণখেলাপি, ব্যাংক ডাকাত, টাকা পাচারকারীরা সব ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা পেল আর উপেক্ষিত হল সার্বজনীন স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা, সবার খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি, গবেষণা, সামাজিক নিরাপত্তা ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতগুলো।

আসলে এর কারণ কী? বাংলাদেশের বাজেট তৈরির রীতিটাইবা এমন কেন? কেন হয় এমন গরিব মারার বাজেট? কেন লুটেরা ধনিকদের স্বার্থরক্ষাই হয় বাজেটের মূল লক্ষ্য। এ প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে হলে যে বিষয়গুলো বুঝতে হবে তা হল, প্রথমত, বাজেট কেবল একটি দেশের শুধুই অর্থনীতির হিসাবনিকাশ নয়; বাজেট একটি অর্থনৈতিক দর্শনও বটে।

বাজেটে কে গুরুত্ব পাবে আর কে গুরুত্ব হারাবে, তা নির্ধারিত হয় ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক দর্শন দ্বারা। দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশ একটি লুটেরা ধনিকশ্রেণির আমলাতান্ত্রিক পুঁজিবাদী রাষ্ট্র। সুতরাং এ দেশের বাজেট লুটপাটকারী, ধনিকশ্রেণি ও আমলাতান্ত্রিকনির্ভর অর্থনৈতিক দর্শনের আলোকে প্রস্তুত হবে এবং তাদেরই স্বার্থরক্ষা করবে, এটাই স্বাভাবিক।

আর এ অনিবার্য কারণেই বর্তমান বাজেটও যে সেই পুরনো ধারাই অব্যাহত থাকছে, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। তারপরও বর্তমানের মরণঘাতী করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশের যে বেহাল দশা, সেদিক থেকে বিবেচনায় এবারের বাজেটে কিছুটা ভিন্নতার প্রত্যাশা নিশ্চয়ই জনগণ করতেই পারে।

ইতোমধ্যেই মরণঘাতী করোনার প্রাদুর্ভাবে দেশের স্বাস্থ্য খাতে রাষ্ট্রের অবহেলা ও মানুষের অসহায়ত্বই যে শুধু তুলে ধরেছে তাই নয়,

উন্মোচন করেছে সরকারের কথিত উন্নয়নের গল্প ও অর্থনীতির দুর্বলতার নানা দিক। আমাদের অর্থনীতি যেই ৪টি স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে সেই রফতানি আয়, রেমিটেন্স, কৃষি ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত; করোনা সংক্রমণের কালে এর প্রত্যেকটিই আজ সংকটের মুখে।

রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশের বেশি আয় করে যে খাত, সেই গার্মেন্ট খাতের নড়বড়ে চেহারা আর মালিকদের দায় না নেয়ার মানসিকতা থেকে এটা পরিষ্কার হয়েছে- প্রণোদনা, মুনাফা আর শ্রম শোষণের মধ্য দিয়ে যে খাতের বিকাশ, অর্থনৈতিক দুর্যোগের এ সময়েও তারা এখনও কতটা সুযোগসন্ধানী!

৪০ বছরের শিল্প মাত্র ৩ মাসে এতটাই কাহিল হয়ে পড়েছে যে, রাষ্ট্রের প্রণোদনা অর্থাৎ জনগণের টাকা ছাড়া সে উঠে দাঁড়াতে পারছে না। দেখা গেল গার্মেন্ট খাত এমন এক বৃক্ষ যে ফুল-ফল তো দূরের কথা ছায়া দেয়ারও ক্ষমতা রাখে না। মাকাল বৃক্ষের ফল খাদ্য গুণহীন একটি অন্তঃসারশূন্য ফল হলেও এটি একটি উপকারী ভেষজ এবং পরিবেশবান্ধব বিষ।

এছাড়াও মাকাল বৃক্ষ সীমিত পরিসরে হলেও ছায়া দেয়ার ক্ষমতা রাখে। পোশাক শিল্প মাকাল বৃক্ষের সঙ্গে প্রতিযোগিতায়ও পরাজিত।

জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী দেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৮ লাখ যুবক-যুবতী কাজের সন্ধানে দেশের বাইরে যেত; কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে সেটি কমবে; সঙ্গে সঙ্গে ফিরে আসা শ্রমিকের সংখ্যা বাড়বে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ১ কোটির বেশি প্রবাসী শ্রমিকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফেরত চলে আসবে।

সৌদি থেকেই আসতে পারে ১০ লাখ। ফলে প্রবাসী আয়েও বড় ধাক্কা আসবে এবং অনিবার্যভাবেই কমবে রেমিটেন্স।

বাজেটে বরাবরই সবচেয়ে উপেক্ষিত থাকে বাংলাদেশের কৃষি ও কৃষক। অথচ এ করোনায় দেশকে বাঁচিয়ে রেখেছে সেই উপেক্ষিত কৃষি ও কৃষক। শুধু ভাতের সংস্থান করা নয়, সবজি, মাছ, ডিম, মুরগি, দুধ, মাংস, ফল কোনো কিছুরই অভাব বোধ করতে দেয়নি যে খাত, গত বাজেটেও তার জন্য বরাদ্দ ছিল মাত্র ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।

ধান উৎপাদন খরচের চেয়ে বিক্রয় মূল্য কম হওয়ায় ক্ষোভে-দুঃখে কৃষক কর্তৃক তার ফসলের মাঠে আগুন ধরিয়ে দেয়া, পাটের মূল্য না পেয়ে গলায় পাট পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করা, বিক্রয়যোগ্য সবজি জমিতেই নষ্ট করে ফেলা, মৌসুমি ফল নিয়ে পরিবহনসহ নানা জটিলতায় উৎপাদকদের বিড়ম্বনা, পোলট্রি খামারির দুর্ভোগ, দুগ্ধ চাষী বিপাকে; বছরজুড়ে এসব ছিল পত্রিকার নিয়মিত হেডলাইন।

অর্থনীতিবিদদের হিসাবমতে, দেশের অর্থনীতির আরও একটি বড় চালিকাশক্তি হল অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত। দেশের অর্থনৈতিক আয়ের ৫০ শতাংশ সরবরাহ করে এ খাতের শ্রমজীবীরা। তারা দিন এনে দিন খাওয়া মানুষ; তাদের কাজ নেই তো মজুরি নেই। ৪ মাস ধরে তাদের জীবন কীভাবে কেটেছে তার বর্ণনা করা কঠিন। এ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে মাত্র ৭৬০ কোটি নগদ টাকা এবং চুরিচামারিসহ দেড় লাখ টন চাল ছিল বরাদ্দ।

অথচ বাংলাদেশের ৬ কোটি ৩৫ লাখ শ্রমশক্তির সাড়ে পাঁচ কোটিই অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের।

এ বিশাল অর্থ জোগানদাতারা কতটুকু সহায়তা পেয়েছে তার হিসাব বের করা কঠিন। করোনা এদের নিুবিত্ত থেকে দরিদ্রের কাতারে নামিয়ে এনেছে। নতুন-পুরনো মিলে ইতোমধ্যে দারিদ্র্যসীমায় পৌঁছানো মানুষের সংখ্যা মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৪৩ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।

চিকিৎসা খাতে বাজেট বরাদ্দ ৫ শতাংশের নিচে রয়েছে বহু বছর ধরে। জিডিপির হিসাবে ১ শতাংশের কম শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ, যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সর্বনিু। নিজের টাকায় চিকিৎসার খরচ নির্বাহ করার দিক থেকে বাংলাদেশের জনগণ সর্বোচ্চ খরচকারী হলেও করোনায় মানুষ কেন টেস্ট করাতে চায় না, তা বুঝতে বিবেকবানদের অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

একজনের টেস্ট করাতে সবমিলিয়ে প্রয়োজন হয় ন্যূনতম ৫ হাজার টাকা; তার ওপর সময়ের অপচয় ও হয়রানি। তাছাড়া বর্তমানকালের সাধারণ মানুষের মাসিক আয়ের কথা তুলনামূলকভাবে আলোচনা করলে তা স্পষ্ট হতে বাকি থাকবে না।

বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাবের মধ্য দিয়ে বর্তমানে এটা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা খাতে রাষ্ট্রীয় দায়দায়িত্ব কমিয়ে যেসব দেশ বেসরকারি খাতকে প্রাধান্য দিয়েছে, সেসব দেশে করোনায় মানুষের ক্ষতি হয়েছে বেশি। অপরদিকে যেসব দেশে চিকিৎসা সেবা রাষ্ট্রায়ত্ত খাতে আছে, সেসব দেশে ক্ষতির পরিমাণ কম। যার প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি, স্পেন; বিপরীতে কেরালা, কিউবা, ভিয়েতনাম ইত্যাদি।

সুতরাং মহামারী করোনার কারণে উদ্ভূত বিশ্ব পরিস্থিতি ও দেশের বাস্তব করুণ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজন ছিল একটি গণমুখী বাজেট; কিন্তু বর্তমান সরকারের প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের খসড়া বাজেটে জনগণের সে আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়নি। প্রস্তাবিত বাজেটে করোনা দুর্যোগ মোকাবেলায় স্বাস্থ্য-চিকিৎসা এবং কৃষি ও গ্রামীণ খাতে যে গভীর মনোযোগ ও বরাদ্দ পাওয়ার কথা ছিল, তা পায়নি।

সরকার মহামারীকালের এ বাজেটেও প্রবৃদ্ধিকেন্দ্রিক গতানুগতিকতার দেয়াল অতিক্রম করতে পারেনি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে অর্থমন্ত্রী তার মাথা থেকে এখনও প্রবৃদ্ধির ভূত নামাতে পারেননি।

অর্থমন্ত্রীর কথিত অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা শীর্ষক বাজেটে দেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য সরকারি উদ্যোগে গণস্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে আসা আট কোটি মানুষের জন্য টেকসই গণবণ্টন ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিশ্বাসযোগ্য কোনো পরিকল্পনা ও প্রয়োজনীয় বরাদ্দের প্রস্তাবনা নেই।

নিশ্চয়ই করোনা মহামারী ও মহামারীজনিত অর্থনৈতিক দুর্যোগ থেকে যদি মানুষকে রক্ষাই করা না যায়, তাহলে সরকার ঘোষিত কোনো পথপরিক্রমাই কাজে আসবে না।

করোনাকালে রফতানি বাণিজ্যে নিুগতি ও প্রবাসী আয় সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কার মধ্যে বাংলাদেশের কৃষক ও কৃষি যে মাত্রায় অগ্রাধিকার পাওয়ার কথা ছিল, বাজেট প্রস্তাবনায় তা দেখা যায়নি। অথচ বর্তমানকালের চলমান করোনা মহামারী দুর্যোগে আমাদের কৃষি ও গ্রামীণ খাতই সামষ্টিক অর্থনীতিকে সচল রেখেছে।

কৃষি ও কৃষিভিত্তিক এবং গ্রামীণ উৎপাদন প্রকল্পে যে পরিমাণ প্রত্যক্ষ প্রণোদনা দেয়া দরকার ছিল তা-ও হয়নি। এছাড়া ইতোমধ্যে দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা ৪ কোটি মানুষের সঙ্গে করোনা দুর্যোগে আরও যে ৪ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে এসেছে, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য ও নগদ টাকা প্রদানের কার্যকরী প্রস্তাবনা বাজেটে নেই।

দুর্যোগ উত্তরণে বেকারদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য যে মাত্রায় নগদ প্রণোদনা দেয়া দরকার ছিল, তা-ও অপ্রতুল। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হলেও চুরি, দুর্নীতি ও দলীয়করণের কারণে তার সুফল থেকেও অধিকাংশ মানুষ বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে।

প্রস্তাবিত বাজেট ঘাটতির ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা সংস্থান করতেও শেষ পর্যন্ত দায়ভার এসে পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। কেননা প্রস্তাবিত বাজেটে এনবিআরসহ সরকারের পক্ষ থেকে বিশাল অঙ্কের কালো টাকা, অপ্রদর্শিত অর্থ সম্পদ, পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে বিশেষ কোনো তৎপরতা নেই।

এমনকি ব্যাংক, শেয়ার মার্কেটসহ আর্থিক খাতে যারা হরিলুট করেছে তাদের কাছ থেকে অর্থ উদ্ধারেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই। যে কারণে এ প্রস্তাবিত বাজেট ঘাটতির ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা সংস্থান করতে শেষ পর্যন্ত দায়ভার এসে পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর।

সুতরাং কৃষিতে জিডিপির ১২ শতাংশ, স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির ৩ শতাংশ, শিক্ষা খাতে জিডিপির ৮ শতাংশ, সামাজিক সুরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ দ্বিগুণ করা আজ সময়ের দাবি। কমপক্ষে আগামী দুই বছরের জন্য বিলাসদ্রব্যের আমদানি বন্ধ ও অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় বরাদ্দ কমিয়ে খাদ্য, শিক্ষা, শিল্প ও আবাসন খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, দুর্যোগকালীন বাজেটের অজুহাতে বাসা ভাড়া, পরিবহন ভাড়া, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করা দরকার।

করোনা মহামারী মোকাবেলায় ফ্রন্টলাইন ক্লাস্টার্স- ডাক্তার, নার্স, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের জন্য বাড়তি প্রণোদনা বরাদ্দ রাখা, বাজেটে সরকারি অপচয় কমানো, ব্যয়বহুল রূপপুর প্রকল্পসহ অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে বরাদ্দ বন্ধ রাখা, বিশেষ করে জ্বালানি খাতে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুক্তি বাতিল করে তা বন্ধ করা এবং মুক্তবাজার অর্থনীতি পরিহার করে জনকল্যাণের অর্থনীতির নিয়ম মেনে আগামী বাজেট প্রণয়ন ও অনুৎপাদনশীল খাতে বরাদ্দ কমিয়ে উৎপাদনশীল খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি করতে পারলেই করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ।

আবু হাসান টিপু : পলিটব্যুরোর সদস্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, কেন্দ্রীয় কমিটি

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *