বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের টেলিমেডিসিন সেবা চালু

কভিড-১৯ মহামারীর মধ্যে মানুষ যাতে ঘরে বসেই চিকিৎসা সুবিধা পেতে পারেন, সে লক্ষ্যে উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের শীর্ষস্থানীয় সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন। চিকিৎসকদের আরো তিনটি সংগঠন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ও বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস এ উদ্যোগে সহায়তায় রয়েছে। চিকিৎসকদের এ উদ্যোগের সেবার পরিসর বাড়াতে এগিয়ে এসেছে শীর্ষস্থানীয় তিনটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি।

স্বাস্থ্যসেবা খাতের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গত সোমবার সেবাটির উদ্বোধন করে মন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে চিকিৎসক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, কেবল করোনা নয়, যে কোনো অসুস্থতায় চিকিৎসকের পরামর্শ মানুষকে আশ্বস্ত করে। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হলে মানুষের ঘর থেকে বের হতে হয় না। করোনার এ সময়ে সাধারণ মানুষকে ঘরে বসে চিকিৎসাসেবা পাওয়ার সুযোগ করে দিয়ে চিকিৎসক সংগঠনগুলো দেশ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতার পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এ সময় চিকিৎসক নেতারা মন্ত্রীকে অবহিত করেন যে হটলাইন নম্বরের মাধ্যমে সাধারণ চিকিৎসকের পাশাপাশি মানুষ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলারও সুযোগ পাবেন। যারা কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন অথবা আইসোলেশনে থেকে হাসপাতালে ভর্তির চেষ্টা করছেন, তারা প্রত্যেকেই এ কল সেন্টারে ফোন করে চিকিৎসাসেবাসহ প্রয়োজনীয় নানা পরামর্শ গ্রহণ করতে পারবেন। ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার জন্য চারটি হটলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে।

নম্বরগুলো হলো: ০১৩১৩-৭৯১১৩০, ০১৩১৩-৭৯১১৩৮, ০১৩১৩-৭৯১১৩৯, ০১৩১৩-৭৯১১৪০

বাংলাদেশের চিকিৎসকদের শীর্ষস্থানীয় সংগঠন বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এবং বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ও বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস এ টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান করছে। টেলিমেডিসিন সেবা দেয়ার জন্য একটি কলসেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ উদ্যোগের হসপিটাল পার্টনার হিসেবে রয়েছে এএমজেড হসপিটাল, বাড্ডা, ঢাকা।

কল সেন্টার প্রতিষ্ঠাসহ অন্যান্য বিষয়ে সায়েন্টিফিক পার্টনার হিসেবে সহযোগিতা করছে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সার্ভিয়ার, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল এবং এরিস্টোফার্মা লিমিটেড। ২৪ ঘণ্টা প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের জন্য এ কাজে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পূর্ণ সহযোগিতা করছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *