জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান বিশ্বের ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত।
গতকাল সাভারে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্তৃক মুজিব বর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত ‘যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর অবদান’ শীর্ষক সেমিনারে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফরহাদ হোসেন বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিরা এদেশে ইতিহাসের নৃশংসতম ও বর্বরোচিত ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। ফলে দেশের কৃষি, অর্থনীতি, শিক্ষাব্যবস্থা, অবকাঠামোসহ সবক্ষেত্র ধ্বংসের সম্মুখীন হয়। সে অবস্থা থেকে বঙ্গবন্ধু তার দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে স্বল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে পুনর্গঠিত করেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর যে অবদান তা বিশ্বের ইতিহাসে এক বিরল দৃষ্টান্ত।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শুধু অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন নয় বরং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা অপরিসীম। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে অতি অল্প সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর আন্তরিকতায়?ই প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ও দ্বিপক্ষীয় সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা নতুনভাবে করার সুযোগ পায়।
বিপিএটিসির মেম্বার ডিরেক্টিং স্টাফ সৈয়দ মিজানুর রহমানের সঞ্চালনায় বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এপিডি) মো. মোকাম্মেল হোসেন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিমন্ত্রী এরপর বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস-২০২০ উপলক্ষে মেহেরপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন, মেহেরপুর কৃষিতে অত্যন্ত সমৃদ্ধ একটি অঞ্চল। এখানকার মাটি খুবই উর্বর হওয়ায় প্রায় সব ধরনের ফসল প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হয়। অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি পেঁয়াজের ফলনও অনেক। দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণে অঞ্চলটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তাই স্বল্প খরচে যেন অধিক পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন করা যায় সেদিকে বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। এজন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া পেঁয়াজের পচনরোধে আধুনিক সংরক্ষণ ব্যবস্থাও গড়ে তুলতে হবে।