ফিপ্রেসি-ইন্ডিয়া বা দি ইন্ডিয়া চ্যাপ্টার অব দি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ক্রিটিকস প্রতি বছরই ভারতীয় চলচ্চিত্রগুলোর মূল্যায়ন করে। এবারো সেটা করেছে তারা। আর তাতে স্থান পেয়েছে বাংলাদেশী অভিনেত্রী অপি করিমের সিনেমা ‘মায়ার জঞ্জাল’!
ছবিতে অপির বিপরীতে আছেন কলকাতার অন্যতম অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী, আর ছবিটি ভারত-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার। ফিপ্রেসি-ইন্ডিয়া তালিকায় বাংলা ছাড়াও হিন্দি, মারাঠি, তামিল, মালয়ালম, কন্নড়, অসমিয়াসহ বেশ কয়েকটি ভাষার চলচ্চিত্র স্থান পেয়েছে। ২০২০ সালের জন্য তৈরি এ তালিকার ৭ নম্বর স্থানে আছে বাংলাদেশী নির্মাতা জসীম আহমেদ প্রযোজিত ‘মায়ার জঞ্জাল।’
‘মায়ার জঞ্জাল’ চীনের মর্যাদাসম্পন্ন সাংহাই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এশিয়ান নিউ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডের অফিশিয়াল সিলেকশনে জায়গা পেয়েছিল। এ আয়োজনেই ছবিটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়।
গত ডিসেম্বরে প্রথম আন্তর্জাতিক পুরস্কার ঘরে তোলে ‘মায়ার জঞ্জাল’। ইতালির রোমে অনুষ্ঠিত এশিয়াটিক ফিল্ম ফেস্টিভালের ২১তম আসরে ফিচার ফিল্ম জুরি অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয় ছবিটি। এছাড়া ‘মায়ার জঞ্জাল’ সাংহাই আন্তার্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, জগজা নেটপেক চলচ্চিত্র উৎসবের অফিশিয়াল সিলেকশনে জায়গা করে নেয়। সাংহাই উৎসবের এশিয়ান নিউ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত হলেও মহামারীর কারণে অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান গত বছর বাদ দেয়া হয়।
মায়ার জঞ্জাল ছবির মাধ্যমে ১৫ বছর পর বড় পর্দার জন্য কাজ করেন অপি করিম। ছবিতে তার চরিত্রের নাম সোমা। মেয়েটি কলকাতার। সে বিবাহিতা। স্বামী আর একমাত্র সন্তানকে নিয়ে তার সংসার। তবে স্বামী বেকার। এ কারণে সন্তানকে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াতে চাকরি করেন সোমা। তার স্বামী চাঁদু চরিত্রে আছেন অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তী।
কথাসাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দুটি ছোটগল্প অবলম্বনে সাজানো হয়েছে ছবিটির চিত্রনাট্য। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের নাট্যদল প্রাচ্যনাটের সোহেল রানা (সত্য), কলকাতার পরান বন্দ্যোপাধ্যায়, চান্দ্রেয়ী ঘোষ (বিউটি) ও ব্রাত্য বসু (গণেশ বাবু)। ছবিটির শুটিং হয়েছে ঢাকা ও কলকাতায়।
‘মায়ার জঞ্জাল’ পরিচালনা করেছেন ইন্দ্রনীল রায় চৌধুরী। ২০১৩ সালে ‘ফড়িং’ ছবির মাধ্যমে পরিচালনায় আসেন তিনি। এরপর টেলিভিশনের জন্য ‘একটি বাঙালি ভূতের গপ্পো’ ও ‘ভালোবাসার শহর’ নামের স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি নির্মাণ করেন। পাঁচ বছর পর পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনায় ফেরেন কলকাতার এ প্রশংসিত নির্মাতা।
ছবিটি প্রযোজনা করেছেন বাংলাদেশের জসীম আহমেদ। সহযোগী প্রযোজক হিসেবে আছে কলকাতার ফ্লিপবুক।