রায়হান রাজীব : [২] একুশে পদক প্রাপ্ত এ অর্থনীতিবিদ বলেন, বিশ্বে যখন করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু সর্বোচ্চ ধাপে পৌঁছে নিচের দিকে নামছে, তখন অর্থনীতি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশে তা করা হয়েছে যখন উভয় সংখ্যাই বাড়ছে এবং বিশেষজ্ঞদের মতে তা আগামী দিনগুলোতে আরও বাড়বে। আমরা উভয় সংকটের মুখোমুখি- একদিকে জীবন বাঁচানো, অন্যদিকে জীবিকা নিশ্চিতকরণ।
[৩] সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে স্বাস্থ্য খাত; দরিদ্রদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অর্থাৎ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং কৃষি খাত। এই তিন খাতের সঙ্গে শিক্ষা যোগ করলে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়ার যোগ্য চারটি খাত নির্ধারিত হয়।[৪] সাধারণত যে পারিপার্শ্বিকতায় বাজেট প্রণয়ন করা হয়, এবার তা সম্পূর্ণ ভিন্ন। কাজেই গতানুগতিকভাবে এই বাজেট প্রণয়ন করা যাবে না। বর্তমান অস্বাভাবিক বাস্তবতাকে অবশ্যই ধারণ করে বাজেট বিন্যাস করতে হবে। বাজেটসংক্রান্ত কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে: বাজেটের দর্শন, বাজেটের আকার, অর্থ সংগ্রহ, প্রবৃদ্ধি, বরাদ্দ দেয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার এবং বাস্তবায়ন।[৫] এ গবেষক আরো বলেন, সাধারণত জাতীয় আয়ের ৫ শতাংশ পরিমাণ বাজেট ঘাটতি গ্রহণযোগ্য। আসছে বাজেটে ঘাটতি ৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো যেতে পারে। চলতি বছরের বাজেট বরাদ্দ থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থ খরচ করা যাবে না, যা পরবর্তী বাজেটে ব্যবহার করা; অপ্রয়োজনীয় বা কম প্রয়োজনীয় প্রকল্প বাদ দেয়া এবং অপ্রয়োজনীয় এবং কম প্রয়োজনীয় সরকারি ব্যয় সংকোচন করা।