প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপ-প্রেস সচিব ফারুক কাজী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। গতকাল সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
ফারুক কাজীর একমাত্র সন্তান আরশি কাজী জানান, দুই সপ্তাহ ধরে তার বাবা পায়ের ব্যথায় ভুগছিলেন। ধীরে ধীরে সেটা উপরের দিকে চলে আসে। ব্যথা বেড়ে গেলে তাকে গত ৩০ জুন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। তার এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষায় কিডনি জটিলতা ধরা পড়ে।
তিনি বলেন, ব্যথানাশক ওষুধ দেয়ার পর থেকেই বাবা ঘুমাচ্ছিলেন। ঘুমের মধ্যেই তাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করা হয়। একটা স্যালাইন দেয়া হয়েছে। তবে ঘুম থেকে তিনি আর জেগে ওঠেননি।
ফারুক কাজীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
ফারুক কাজী আইন, সংবিধান ও মানবাধিকার বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের সাবেক সভাপতি। দীর্ঘ কর্মজীবনে বাংলার বাণী, বাসস, ইউএনবি, অবজারভারসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে কাজ করেছেন তিনি।
ফারুক কাজী ১৯৪৯ সালের ১৭ জানুয়ারি কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।