মহসীন কবির : [২] কোভিড-১৯ বিস্তাররোধ করতে মানুষের সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণ নিশ্চিত করার জন্য পূর্ণ লকডাউনের সুপারিশ করেছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। কমিটির ৯ম সভা থেকে লকডাউনসহ পাঁচটি সুপারিশ করা হয়।
বুধবার (১০ জুন) কমিটির নবম সভায় স্বাস্থ্যসেবা কর্মীদের জন্য আলাদা হাসপাতালসহ পাঁচটি সুপারিশ করেছে বলে জানানো হয়েছে। কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার পক্ষে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান ( আইইডিসিআর) এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে। জাগোনিউজ ও বাংলা ট্রিবিউন
[৩] তিনি বলেন, রোগের বিস্তার বন্ধ করতে মানুষের সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণ নিশ্চিত করার জন্য পূর্ণ লকডাউন প্রয়োজন। কমিটি জীবন এবং জীবিকার সামঞ্জস্যের গুরুত্ব উপলব্ধি করে দেশে আক্রান্ত ও ঝুঁকির মাত্রার ভিত্তিতে যতটা বড় এলাকায় সম্ভব জরুরিভাবে লকডাউনের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে দৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করেছে।
[৪] দ্বিতীয়ত, জরুরিভিত্তিতে সব হাসপাতালে হাই-ফ্লো অক্সিজেন থেরাপির প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে চালু করার ব্যবস্থা নিতে কমিটি যে পরামর্শ দিয়েছিল, তা চালু করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়কে পুনরায় জানানো হয়।
[৫] তৃতীয়, চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা ব্যাপকহারে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং এ পর্যন্ত বেশ কয়েকজন মারা গেছেন। এ হারে আক্রান্ত হতে থাকলে জনগণের স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হবে। তাই স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য আলাদা হাসপাতাল চালুর কথা বলা হয়েছে।
[৬] চতুর্থ, যেসব হাসপাতালে পৃথক এলাকা ঠিক করে কোভিড ও নন-কোভিড রোগীর চিকিৎসা এখনো চালু হয়নি, তা চালু করা জরুরি। এজন্য বক্ষব্যাধি হাসপাতাল বা এরকম অন্য যে কোনো উপযুক্ত হাসপাতাল আশু চালু করা দরকার।
[৭] পঞ্চমত, করোনা পরীক্ষার মান্নোয়ন ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফলাফল নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। যতদিন সময় কমানো সম্ভব না হয়, পরীক্ষার ফলাফলের জন্য অপেক্ষা না করে সন্দেহজনক রোগীর চিকিৎসা/আইসোলেশন নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করতে হবে।