পশুর হাট ইজারা বাবদ আয়ও কমেছে: ডিএনসিসি মেয়র

নভেল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কোরবানির পশু কেনাবেচার হাটের সংখ্যা কমিয়ে আনায় ইজারা বাবদ আয় কমেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। গতকাল ভাটারা-সাইদ নগরে স্থাপিত অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।

মেয়র বলেন, আপনারা জানেন ডিএনসিসিতে প্রতি বছর ১০-১১টি হাট বসে থাকে। এবার কভিড মোকাবেলার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি ঢাকা শহরের বাইরে কিছু জায়গায় হাট বসানোর জন্য। বর্তমানে একটি স্থায়ী হাট গাবতলীতে এবং পাঁচটি অস্থায়ী হাট শহরের বাইরে খোলামেলা জায়গায় বসানো হয়েছে। এছাড়া হাটে না গিয়ে অনলাইন থেকে কোরবানির পশু কেনা, কোরবানি দেয়া, মাংস প্রস্তুত করা, এমনকি বাসায় মাংস পৌঁছে দেয়ার জন্য ডিজিটাল হাটও বসানো হয়েছে। এ বছর মহামারীর মধ্যে কোরবানি। প্রতি বছর কোরবানির পশু কিনতে আমরা হাটে আসি। হাটে আসাটাই উৎসবের একটা অংশ। কিন্তু এবার বিশ্বব্যাপী মহামারী এসেছে। আমরা চেষ্টা করছি এটি মোকাবেলার।

তিনি বলেন, হাট ইজারা দিয়ে ডিএনসিসি গতবার ২১ কোটি টাকা পেয়েছিল, হাট কমানোর কারণে এবার অনেক কম টাকা পেয়েছি।

আতিকুল ইসলাম বলেন, হাট পরিদর্শনের জন্য ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি মনিটরিং টিম করা হয়েছে। তারা মনিটরিংয়ের জন্য প্রতিটি হাটে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কিনা তা মনিটরিং করছেন। ইজারাদাররাও মাস্ক নিয়ে এসেছে, যাতে কেউ মাস্ক নিয়ে না এলে তাদের দিতে পারে। এটি মেনটেইন করা অত্যন্ত দুরূহ ব্যাপার, তার পরও আমরা চেষ্টা করছি। বারবার মাইকে স্বাস্থ্যবিধি বলা হচ্ছে, সচেতন করা হচ্ছে। বয়স্ক, শিশু, অসুস্থরা যাতে হাটে না আসে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কিনা তা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিটি হাটে একটি করে ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়েছি। আমরা চেষ্টা করছি স্বাস্থ্য সুরক্ষা সবাই যেন মেনে চলে।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, মহামারীর মধ্যেই এবার ঈদ হচ্ছে। বেঁচে থাকলে আরো অনেক কোরবানির ঈদ করতে পারব। কিন্তু এবারে যারা আসবেন, মেহেরবানি করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে। আমরা কেবল সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাব। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যে বিধিগুলো দেয়া হয়েছে, সেগুলো মেনে চলতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।

কোরবানির স্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বছিলায় ২ হাজার পশু কোরবানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডিএনসিসি থেকে ২৫৬টি স্থানে কোরবানি দেয়ার জন্য নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। আমি সবাইকে অনুরোধ করব এসব স্থানে কোরবানি দিন। মহামারী ও কোরবানি মাথায় রেখে নিজ নিজ দায়িত্বে শহর পরিষ্কার রাখুন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাকির হোসেন, মফিজুর রহমানসহ কোরবানি পশুর হাট মনিটরিং কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *