ঢাকা:
আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংঘাত এড়িয়ে বিক্ষোভ করছি। কিন্তু পরিস্থিতির যদি বদল না ঘটে তাহলে বিক্ষোভের ধরনও পাল্টে যাবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অভিমুখে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
জোনায়েদ সাকির নেতৃত্বে গণসংহতি আন্দোলনের মিছিল তোপখানা রোড, পুরানা পল্টন হয়ে সচিবালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হলে সেখানেই সংক্ষিপ্ত পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জোনায়েদ সাকি তার বক্তব্যে বলেন, মহামারি মোকাবিলায় আমরা সরকারকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত ছিলাম। আমাদের দল থেকে এবং জোট থেকে সর্বদলীয় পরামার্শ সভা ডাকা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে সব দল অংশ নিলেও সরকারের কোনো প্রতিনিধি আসেনি। সরকার যদি আগাম পদক্ষেপ নিতো তাহলে বর্তমান পরিস্থিতি তৈরি হতো না।
‘৪৯ দিনের একটি কার্যকর লকডাউন বাস্তবায়ন করা গেলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বর্তমান পর্যায় আসতো না। দিনের আয়ের ওপর নির্ভরশীল মানুষদের খাদ্য ও নগদ অর্থের চাহিদা মিটিয়ে একটি কার্যকর লকডাউন বাস্তবায়ন করলে এখন আমরা নিরাপদে মানষের জীবন ক্ষয় না করে অর্থনীতি খুলে দিতে পারতাম। ’
জোনায়েদ সাকি বলেন, আমাদের সৌভাগ্য হয়ে আসতে পারতো আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ভেতর দিয়ে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট। স্বল্পখরচে ও ন্যূনতম সময়ে এন্টিজেন এবং এন্টিবডি পরীক্ষা করা যেত। কিন্তু আজ পর্যন্ত এই কিটের অনুমোদন নিয়ে টালবাহান করা হচ্ছে। অবিলম্বে এ কিটের অনুমোদন না দেওয়া হলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়া হবে, প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এই মহামারির মধ্যেও যে বাজেট ঘোষণা করা হলো তা একেরাইে গতানুগতিক। স্বাস্থ্যখাতে ১০ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ ছাড়া এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার কোনো দিকনির্দেশনা নেই বাজেটে। আজ আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সংঘাত এড়িয়ে বিক্ষোভ করছি। কিন্তু পরিস্থিতির যদি বদল না ঘটে তাহলে বিক্ষোভের ধরনও পাল্টে যাবে।
বাজেটের অন্তত ২০ শতাংশ স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ এবং সময়মতো অর্থ বরাদ্দ ও তার ব্যবহার নিশ্চিতসহ ৭ দফা দাবি ঘোষণা করা হয় পথসভা থেকে।