নেপালে লবণের কেজি ১০০ টাকা

ভারত-নেপাল সীমান্ত বন্ধ হওয়ায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে। খেটে খাওয়া নেপালিদের জন্য দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহ শুধু কঠিন নয়, অনেকটা অসম্ভবই হয়ে পড়েছে। 

বাণিজ্যিক বা আর্থিক ক্ষতি নয়, এখন রোজের নুন-ভাতের জোগাড় করতে গিয়েও হিমশিম খাচ্ছেন নেপালবাসী। ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পড়াকে এর কারণ হিসেবে ধরে নিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে মানুষ। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ডেইলি হান্টের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বাংলা সংবাদ মাধ্যম এই সময়। 

সম্প্রতি নেপাল সরকার নির্দেশিকা জারি করে সে দেশের নাগরিকদের ভারতে ঢোকার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। একই সঙ্গে ভারতীয়দের জন্যও নেপালের দরজা বন্ধ করা দেওয়া হয়। যার জেরে দু’দেশের বাণিজ্য বন্ধ হয়ে নেপালে খাদ্যসামগ্রীর দাম এখন আকাশছোঁয়া। লবণের দাম বাড়তে বাড়তে কেজিতে হয়েছে ১০০ টাকা। আবার এক লিটার সরিষার তেলের দাম হয়েছে ২৫০ টাকা।

সাধারণ অবস্থায় ভারতের মধ্যে প্রায় ৪.২১ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়। অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩১ হাজার ৭৮২ কোটি ৬৩ লাখ রুপি। সে সঙ্গে অঘোষিত বাণিজ্যের পরিমাণ ঘোষিত এই বাণিজ্যের ১০ গুণ।

একই সঙ্গে ভারতীয় অংশেও নেপালের এই সিদ্ধান্তের যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন ভারতীয় অঞ্চলগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্য এক কথায় লাটে উঠেছে। বিহারের মধুবনী জেলা সংলগ্ন জয়নগর সীমান্তের এক টেক্সটাইল ব্যবসায়ী জানান, সীমান্ত বন্ধ হওয়ার প্রভাব পড়েছে বাজারগুলোতে। গত দুই মাসে জয়নগর মার্কেটের ক্ষতি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *