নেটফ্লিক্সের নতুন হিন্দি ছবি সর্দার কা গ্র্যান্ডসন বা সর্দারের নাতি। ছবিটি মুক্তি পেয়েছে ১৮ মে। অর্জুন কাপুর ও নিনা গুপ্ত আছেন মূল দুই চরিত্রে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন কাশভি নায়ার। এ ছবির মাধ্যমে নেটফ্লিক্সে অভিষেক হলো নায়ারের।
সর্দার কা গ্র্যান্ডসন ছবিতে দেখা গেছে দেশ ভাগের স্মৃতি এসে মিশেছে আজকের দিনের ভাইরাল ভিডিওর দুনিয়ার সঙ্গে। ছবির গল্প আবর্তিত হয়েছে অমৃতসরে বসবাসকারী ৯০ বছরের এক বৃদ্ধা ও তার নাতিকে ঘিরে। এ বৃদ্ধার জীবনের শেষ ইচ্ছা লাহোরে তার ফেলে আসা ভিটা একবার দেখে যাওয়ার। ১৯৪৭-এর দেশ ভাগের সময় তিনি লাহোর ছেড়ে অমৃতসর চলে এসেছিলেন। দাদির শেষ ইচ্ছা পূরণে ব্যস্ত নাতি।
এখানে দাদি পরিচিত সর্দার (নিনা গুপ্ত) নামে। ইচ্ছা থাকলেও তার পক্ষে এ বয়সে পাকিস্তানে সফরের ধকল নেয়া সম্ভব নয়। অর্থাৎ সর্দারের পক্ষে তার লাহোরের বাড়িতে যাওয়া সম্ভব নয়। সর্দারের নাতি আমরিক (অর্জুন কাপুর) তখন প্রতিজ্ঞা করে দাদির শেষ ইচ্ছা পূরণের।
আমরিক একসময় লস অ্যাঞ্জেলেসে ট্রান্সপোর্ট ও লজিস্টিক কোম্পানি চালাত। এদিকে ব্যবসা ও প্রেমিকা রাধার (রাকুল প্রীত সিং) সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয় আমরিকের। সে দায়িত্বহীন, কোনো প্রতিজ্ঞা রক্ষা করতে পারে না—আমরিককে নিয়ে কাছের মানুষদের এমনই ধারণা গড়ে ওঠে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলে যায় পরিস্থিতি। ধীরে ধীরে পরিবারের সবচেয়ে দায়িত্বশীল সদস্য হয়ে ওঠে আমরিক। আমরিক চেষ্টা করে তার দাদিকে পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়ার। কিন্তু দাদির ভিসা প্রত্যাখ্যাত হয়। এর মধ্যে সে শুনতে পায় যুক্তরাষ্ট্রে রাধা প্রায় শতবর্ষী একটি গাছকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। এ ঘটনা থেকে আমরিকের মনে আসে এক অভিনব ধারণা। আরো খোঁজখবর করে আমরিক জানতে পারে বিভিন্ন দেশে অনেকে তাদের বাড়িঘরও অক্ষত অবস্থায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়েছেন। এবার আমরিক শুরু করে তার অভিযান। ভারত ও পাকিস্তান সরকারকে অনুরোধ জানায় তার দাদির বাড়ি লাহোর থেকে অমৃতসরে স্থানান্তরে সহায়তা করতে। দাদিকে না বলেই সে চলে যায় লাহোর। কারণ যদি কাজে ব্যর্থ হয় তাহলে দাদির মন আরো ভেঙে যাবে। কিন্তু লাহোর পৌঁছে আমরিক দেখে আরেক কাণ্ড। স্থানীয়রা তার দাদির সেই বাড়ি ভাঙার প্রস্তুতি নিচ্ছে। পরের কাহিনী না হয় দর্শক দেখে নেবেন।
দেশভাগের পরিপ্রেক্ষিত থেকে সর্দার কা গ্র্যান্ডসনের গল্প অভিনব। দর্শক ও সমালোচকরা এখনো ভালোই বলছেন ছবিটি সম্পর্কে। ছবির গল্পের রসবোধের উপস্থিতি আছে, যা দর্শককে পর্দায় টেনে রাখবে।