নিক লি’র চোখে মুশফিকই সেরা

অনুশীলনে সহজে ছাড় দেন না মুশফিকুর রহীম। ফিটনেসের কাজেও সচেতন। আর জাতীয় দলের ট্রেনার নিক লি মুশফিককে শুধু বাংলাদেশেরই নয়, পেশাদারির দিক থেকে তার দেখা সেরা ক্রিকেটার মনে করেন।
নিউজিল্যান্ড থেকে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় নিল লি পুরো দলের ফিটনেসুসচেতনতার কথা বলতে গিয়ে মুশফিকের প্রসঙ্গ টেনে আনেন। নিক লি বলেন, ‘অন্য যেসব দলের সঙ্গে আমি কাজ করেছি, সে হিসাবে এই দলটা কঠোর পরিশ্রমী। এই দলের এক-দুজন আছেন, যারা আমার দেখা সবচেয়ে পেশাদার ক্রিকেটার। মুশফিকুর রহীম আছেন, যিনি কিনা তার কাজটা খুব পেশাদারি মানসিকতা নিয়ে করে থাকেন।’
টাইগারদের দায়িত্ব নেয়ার আগে এই ইংলিশ ট্রেনার ছিলেন শ্রীলঙ্কা জাতীয় দলের সঙ্গে। ফিটনেস কোচিংয়ে প্রায় এক দশক ধরে ব্যস্ত এই কোচ কাজ করেছেন ইংলিশ কাউন্টি সাসেক্সেও। বাংলাদেশ দলে মুশফিকের মতো অনুপ্রেরণা দলে থাকায় তরুণেরাও ফিটনেস সচেতন হচ্ছেন বলে মনে করেন নিক লি।
তিনি বলেন, ‘তরুণদের জন্য সে দারুণ উদাহরণ। ওরা মুশফিককে অনুকরণ করার চেষ্টা করে। দলের বেশির ভাগ ক্রিকেটারকে নিয়েই আমার কোনো অভিযোগ নেই। তারা চেষ্টা করে। যা করতে বলা হয়, করে।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচির কারণে আধুনিক ক্রিকেট এখন অনেকটাই ফিটনেসুনির্ভর। তিন সংস্করণের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো আছেই, পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে নানা ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লীগ আর ঘরোয়া ক্রিকেটের চাপে অনেক ক্রিকেটারই দ্রুত ভেঙে পড়েন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টানা একই তাড়না নিয়ে খেলে যেতে হলে ফিটনেস ভালো রাখা বাধ্যতামূলক। ক্রিকেটাররাও সেটি অনুধাবন করতে পারছেন বলে মনে করেন জাতীয় দলের ট্রেনার। নিক লি বলেন, ‘আমার মনে হয়, আজকাল ফিটনেস যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা ওরা অনুধাবন করতে শুরু করেছে। সফর ও খেলার সূচি খুবই কম সময়ের মধ্যে হচ্ছে। এ জন্যই আপনাকে ফিটনেস ভালো রাখতে হয়। কারণ, আপনাকে ম্যাচের ফাঁকে ফাঁকে শরীরের শক্তি ফিরিয়ে আনতে হয়। প্রতি ম্যাচে একই রকম শক্তি ধরে খেলে যাওয়ার জন্য এটা দরকার।’
তবে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের জন্য ফিটনেসে উন্নতির বড় চ্যালেঞ্জটা আসে এমন প্রক্রিয়ার শুরুতেই। শুরুর কঠোর পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে যাওয়া অনেকের জন্যই সহজ নয়। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফিটনেস নিয়ে কঠোর পরিশ্রমও নাকি উপভোগ্য মনে হয়। নিক লি বলেন ‘আপনি যত ফিট হবেন, ততই উপভোগ করতে থাকবেন। কিন্তু শুরুতে এটা কঠিন। আপনার শরীর অসাড় মনে হবে, পুরো প্রক্রিয়াটাকে কঠোর পরিশ্রমের মনে হবে। পরে যখন আপনি উন্নতি করতে থাকেন, তখন সবই ভালো লাগে। আমার মনে হয়, ছেলেরা এখন উপভোগ করছে।’

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *