টিম পেইনের ‘সেক্সটিং’ কাণ্ডের খুব বেশিদিন হয়নি। অনিয়ন্ত্রিত যৌনাচারের মাশুল দিতে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপ্টেন্সি ছাড়েন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। অ্যাশেজ সিরিজের আগে দলের গুরুত্বপূর্ণ এই সদস্যের ঘটনা গোটা দলের উপর প্রভাব ফেলে। এরইমধ্যে নয়া বিস্ফোরণ ঘটলো ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) নৈতিকতা কমিটির সাবেক প্রধানের ফোনালাপ ফাঁসে। জানা গিয়েছে, আরেক অজি ক্রিকেটারের অবাধ যৌনজীবন এবং মাদকাসক্তির কথা!
সম্প্রতি সিএ’র নৈতিকতা কমিটির সাবেক প্রধান শন ক্যারল এবং এক যৌনকর্মীর ফোনালাপের রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। ফোনালাপে নাম অপ্রকাশিত এক ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে কোকেন নেয়ার ঘটনা এবং অনিয়ন্ত্রিত যৌনজীবন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
মেলবোর্নের দৈনিক ‘দ্য সানডে এজ’ ফোনকলের রেকর্ডটি ফাঁস করে। নিজেকে উচ্চশ্রেণির যৌনকর্মী দাবি করা এক নারী শন ক্যারলকে এক ক্রিকেটারের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন। বলেছেন, বিখ্যাত এই ক্রিকেটারের নিজেকে সামলানো দরকার; না হলে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে।
ফোনালাপে ওই নারী দাবি করেছেন, সেই ক্রিকেটার বারান্দায় নগ্ন হয়ে নেচেছেন, প্রকাশ্যে কোকেন ব্যবহার করেছেন এবং একাধিক মেয়ের সঙ্গে সময় কাটান। যৌনকর্মী নারী ফোনে বলেন, ‘ওর (ক্রিকেটার) উচিত এসব কমানো, একেবারেই ছেড়ে দেয়। আমি তার উপকার করতে চাইছি। আমি চাইব না সে পার্টি করছে, কোকেন নিচ্ছে এসব প্রকাশ্যে আসুক।’
সানডে এজকে একটি অজ্ঞাত মেইল আইডি থেকে অডিও কিল্পটি পাঠানো হয়। নিজেকে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সাবেক কর্মী হিসেবে দাবি করা সেই মেইলদাতা নৈতিকতা কমিটির (সিএ’র) ক্ষমতার অপব্যবহারের দিকে দৃষ্টি ফেরাতে কাজটি করেছেন বলে জানিয়েছেন। মেইলটিতে তিনি লিখেছেন, ‘এসব রেকর্ডিং সংগ্রহ করার, কাদের এসব শোনার স্বাধীনতা রয়েছে এবং কত দিন এগুলো রাখা হবেÑ কোনো নিয়ম নেই। এসব নথি কারা ব্যবহার করতে পারবে বা এসব তথ্য গোপন রাখার জন্য কোনো নিয়ম নেই। আমি চাই, সাধারণ মানুষ, খেলোয়াড় বা কর্মকর্তাদের ক্ষমতার অপব্যবহারের হাত থেকে বাঁচাতে চাই এবং জবাবদিহি চাই। বহুদিন ধরেই এমন (সিএ’র) এমন আচরণ চলছে।’
ফোনালাপটি অবশ্য বেশ কয়েক বছর বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলি বলেছেন, ‘প্রতিবেদনটি (নথি ফাঁসের) দেখেছি। এগুলোর কোনো প্রমাণ নেই। আর রেকর্ডটি পুরনো। যেকোনো গোপন তথ্য চুরি করা অপরাধ। আমরা ভিক্টোরিয়া পুলিশকে জানিয়েছি।’