দেশে ট্রেনিং নেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতির নির্দেশ

মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যে যারা দেশের বাইরে যাননি, দেশে থেকে ট্রেনিং ও যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, ২০১৬ সালের প্রজ্ঞাপনের সংজ্ঞায় তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে সোমবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ আহসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান।

পরে মোহাম্মদ আহসান জানান, উপজেলা পর্যায়ে যাচাই-বাছাই শেষে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত টাঙ্গাইলের জেলা কমিটি সখীপুর উপজেলার ২৯৫ জনের নাম সুপারিশ করে ২০০৪ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। কিন্তু তাদের নাম গেজেট আকারে প্রকাশ না হওয়ায় ২০১৬ সালে এ কে এম ফজলুল করিমসহ ২৬ জন মুক্তিযোদ্ধা হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটের প্রেক্ষিতে আদালত গেজেটে তাদের নাম অন্তর্ভূক্তির প্রশ্নে রুল জারি করেন।

তিনি জানান, এরমধ্যে আমরা খেয়াল করলাম ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘মুক্তিযোদ্ধা-এর সংজ্ঞা ও বয়স নির্ধারণ’ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করে। যাতে দেশের অভ্যন্তরে মুক্তিযুদ্ধে ট্রেনিং নেওয়াদের বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞার কলামে নেই। তাই প্রজ্ঞাপনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সম্পূরক আবেদন করা হয়। তখন ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে দেশে প্রশিক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের ওই সংজ্ঞায় কেন অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। সোমবার দুটি রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেয়া হয়।

মোহাম্মদ আহসান আহসান আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্যে যারা দেশের বাইরে যাননি, দেশে থেকে ট্রেনিং ও যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, ২০১৬ সালের প্রজ্ঞাপনের সংজ্ঞায় তাদেরকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি তাদের অধিকার বলেও রায়ে বলা হয়েছে।

‘মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রিট আবেদনকারী ২৬ জনের নামের তালিকা আগামী ৯০ দিনের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত’, জানান আইনজীবী মোহাম্মদ আহসান।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *