তুলা রফতানি অপরিবর্তিত রেখেছে বেনিন

টানা চাঙ্গা ভাবের ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে বেনিনের তুলা রফতানি খাত নতুন মাইলফলক স্পর্শ করে। ওই সময় পশ্চিম আফ্রিকার এ দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি ইতিহাসের সর্বোচ্চ অবস্থান ছুঁয়ে যায়। তবে গত বছর দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে তুলা রফতানি অপরিবর্তিত ছিল। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর এগ্রিমানি ও বিজনেস রেকর্ডার।

বেনিন আফ্রিকার শীর্ষ তুলা রফতানিকারক দেশ। পণ্যটির রফতানিকারকদের বৈশ্বিক শীর্ষ তালিকায় দেশটি পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। ইউএসডিএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে বেনিনের তুলা রফতানি খাতে সর্বশেষ মন্দা ভাব দেখা গিয়েছিল। ওই বছর দেশটি সব মিলিয়ে ৬ লাখ ৫০ হাজার বেল (প্রতি বেলে ৪৮০ পাউন্ড) তুলা রফতানি করেছিল, যা আগের বছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ কম।

এরপর থেকে বেনিনের তুলা রফতানিতে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে দেশটি থেকে যথাক্রমে আট লাখ বেল ও ১০ লাখ বেল তুলা রফতানি হয়েছে। বৃদ্ধির পরিমাণ যথাক্রমে ২৩ দশমিক ৮ শতাংশ ও ২৫ শতাংশ।

টানা প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালে বেনিনের রফতানিকারকরা ২০১৮ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে ১৪ লাখ বেল তুলা রফতানি করেন, যা আগের বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি বেড়েছে চার লাখ বেল। বেনিনের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বেশি তুলা রফতানির রেকর্ড।

সর্বোচ্চ রফতানির এ রেকর্ড গত বছরও ধরে রেখেছে আফ্রিকার এ দেশটি। ২০১৯ সালে বেনিনের রফতানিকারকরা আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ১৪ লাখ বেল তুলা রফতানি করেছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইউএসডিএ। বাড়তি উৎপাদনের জের ধরে এ সময় দেশটি থেকে পণ্যটির রফতানি বেড়েছে। একই কারণে চলতি বছর বেনিনের তুলা রফতানি খাতে প্রবৃদ্ধির গতি আরো বেগবান হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *