দেশের তরুণরা মেধাবী। কিন্তু তারা উদ্ভাবনের জায়গায় অত্যন্ত দুর্বল। তাদের উদ্ভাবন সম্পদকে সুরক্ষা দেয়ার মাধ্যমে দেশী উদ্ভাবনকে আন্তর্জাতিক বাজারে নিয়ে যেতে হবে। সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ এবং মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটবের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘রোল অব টেলিকম ইন অ্যাকসেলারেটিং ডিজিটাল বাংলাদেশ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
দেশে ফাইভজি সেবা চালুতে সরকার পুরোপুরি প্রস্তুত ঘোষণা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ফাইভজির যুগে লাখ লাখ ডিভাইস কানেক্টেড থাকবে, বাসার ফ্রিজ, টিভি, দরজা সবকিছুই হবে ইন্টারনেট সংযুক্ত। সুতরাং টেলকো হচ্ছে হাইওয়ে, যার ওপর নির্ভর করে পরের সভ্যতা বিকশিত হবে। এজন্য উদ্ভাবনী দক্ষতার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
সিটিও ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি তপন কান্তি সরকার আয়োজনের সভাপতিত্ব করেন। সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের উদ্যোগে এবং টেক জায়ান্ট অ্যামাজনের সহযোগিতায় ‘সিটিও ফোরাম ইনোভেশন সেন্টার’ গঠনের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ফাইভজির মাধ্যমে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের রূপান্তর হবে। এ রূপান্তরের জন্য আমাদের তরুণদেরও আগ্রহ রয়েছে। ইনোভেশন সেন্টারে অ্যামাজনের সঙ্গে ৪০ জনের পদ্মা, যমুনা, সুরমা, কুশিয়ারা, মেঘনা এ নামের পাঁচটি টিম কাজ করছে। এ সময় তিনি বিজয় দিবসে ‘ইনোভেশন হ্যাকাথন’ আয়োজনের কথা জানান।
অ্যামটব সভাপতি এবং রবি আজিয়াটা লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, সরকার এবং মন্ত্রী মহোদয়ের আন্তরিকতা থাকলেও সব সরকারি দপ্তর বা প্রতিষ্ঠানে একই চিন্তা বা নীতির প্রতিফলন না দেখা গেলে এগিয়ে যাওয়া কষ্টকর।
গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বলেন, ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল সেবায় বিটিআরসির হস্তক্ষেপে ব্যাংক এবং টেলকো উভয় পক্ষ এখন ‘বিজয়ী’ অবস্থানে আছে।
অনুষ্ঠানে টেলিকম খাতকে ‘ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের ব্যাকবোন’ বলে মন্তব্য করেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের এমডি ও সিইও আবুল কাশেম মো. শিরিন। তিনি বলেন, ডিজিটাল ফাইন্যান্সের ক্ষেত্রে উদ্ভাবনের অনেক সুযোগ রয়েছে।
বাংলালিংকের সিইও এরিক অস বলেন, অবকাঠামোতে এগিয়ে থাকলেও ইনোভেশনে বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। এখন প্রত্যেকটি বাড়িকে ইন্টারনেটের অধীনে আনতে টেলিকম অপারেটরগুলো কাজ করছে।
ওয়েবিনারের শুরুতে সিটিও ফোরামের ইসি সদস্য এবং বাংলালিংকের আইটি ডিরেক্টর সৈয়দ সোহায়েল রেজা সিটিও ফোরাম ইনোভেশন সেন্টারের ওপর একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল এবং পূবালী ব্যাংকের এএমডি মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় আয়োজনের সূচনা বক্তব্য রাখেন টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবং সিটিও ফোরামের ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মহসিনুল আলম এবং টেলিটক এমডি মো. সাহাব উদ্দিন।