ট্রেন্ট বোল্টের বোলিং তোপে গুঁড়িয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম জয়ের স্বপ্ন । তামিম-সৌম্যদের ফিরিয়ে ম্যাচসেরাও হয়েছেন এই কিউই পেসার। ইনিংসে সবগুলো উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাড়ায় ১৩১ রানে। মাত্র ১৭২ বলে ৮ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় স্বাগতিকরা। বড় জয়ের পরও বাংলাদেশকে সহজভাবে নিচ্ছেন না বোল্ট।
ম্যাচ শেষে বোল্ট বলেন, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের পরিসংখান দেখলেই বোঝা যায় তারা নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ভালো করতেও সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। তারা হাল্কাভাবে নেয়ার মতো দল নয়।’
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই বল ডট গেলেও বোল্টের করা তৃতীয় বলে লাফিয়ে ছক্কা হাঁকান তামিম ইকবাল। দাপুটে ব্যাটের আভাস দিলেও বেশি দূর এগোয়নি টাইগার অধিনায়কের ইনিংস। চতুর্থ ওভারে বোল্টের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই বাঁহাতি ওপেনার।
তামিমকে আউট করা নিয়ে বোল্ট বলেন, ‘আসলে কোনো খেলোয়াড়রে সঙ্গেই আমার লড়াই নেই । তবে হ্যা তামিমের সঙ্গে আমি অনেক ম্যাচ খেলেছি। আমি বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বল করতে উপভোগ করি। তাকে আউট করার তেমন কোনো সিক্রেট নেই। বল সুইং করেছে। চেয়েছিলাম তামিমকে সামনের পায়ে বল দিয়ে ভেতরে নিতে, সেটাই হয়েছে। ’
ম্যাচের পরিকল্পনা নিয়ে বোল্ট বলেন, ‘টসে জিতে বোলিং নেয়াটা আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। আমরা চেয়েছি ভালো জায়গায় বল করে ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখতে। যাতে ম্যাচ আমাদের হাতের বাইরে না চলে যায়। শুরুতে উইকেট ফেলে ওদের মিডল অর্ডারকে চাপে রাখতে চেয়েছি। অল্প রানেই তাদের আটকে ফেলা এবং দ্রুত উইকেট নেয়াটা খুব সন্তোষজনক ছিল।’
ঘরের মাঠের সুবিধার কথা স্বীকার করে বোল্ট বলেন, ‘আমি এখানে খেলতে উপভোগ করি। এখানের উইকেটগুলো পেস বান্ধব। গত দুই সপ্তাহে এই মাঠে দুইবার এসেছি আমি। অনুশীলন করেছি, যেটি আমাদের সুবিধা দিয়েছে। দর্শকদের সমাগমও আমাদের জন্য ইতিবাচক ছিল।’
ইউনিভার্সিটি ওভালে ম্যাচের শুরু থেকেই কিউই পেসারদের বাউন্স সামলাতে খাবি খেতে হয় টাইগার ব্যাটসম্যানদের। পেস বান্ধব পিচ নিয়ে বোল্ট বলেন, ‘এই পিচে ভালো পেস এবং বাউন্স হচ্ছিল। বল প্রায় সময়ই ব্যাটসম্যানদের বুকের উপর দিয়ে যাচ্ছিল। যা একজন পেসারের স্বপ্ন।’