বয়স্ক জনগোষ্ঠীর মধ্যে চীনা কো¤পানি সিনোভ্যাক বায়োটেকের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এক বিবৃতিতে দেশটির ফুড এন্ড ড্রাগ এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে। সিনোভ্যাকের প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের ট্রায়ালের তথ্য অনুযায়ী, ৬০ বছরের অধিক বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন সামান্যই সুরক্ষা দেয়। ইন্দোনেশিয়ায় সিনোভ্যাকের অংশীদার বায়ো ফার্মা এই ভ্যাকসিন সরবরাহ করে থাকে। বয়স্কদের মধ্যে সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন কেমন নিরাপদ তা নিয়ে পর্যাপ্ত তথ্যও প্রদান করেনি সিনোভ্যাক। এ কারণে এতদিন শুধুমাত্র সম্মুখযোদ্ধাদের প্রাধান্য দিয়ে ভ্যাকসিন প্রদান করেছে ইন্দোনেশিয়া। তবে এবার দেশটির বয়স্কদেরও এই ভ্যাকসিন প্রদানের অনুমোদন দেয়া হলো। এ খবর দিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। মানবজমিন
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুমোদন পাওয়া ভ্যাকসিনগুলোর থেকে তুলনামূলকভাবে কম কার্যকরি চীনের সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন। এরমধ্যে বয়স্কদের মধ্যে এই ভ্যাকসিন কার্যকরি কিনা কিংবা তাদের জন্য এই ভ্যাকসিন নিরাপদ কিনা সে সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য প্রদান করেনি সিনোভ্যাক। এতদিন স্বাস্থ্যকর্মী ও সরকারি কর্মকর্তারাই ভ্যাকসিন নিয়েছেন। সরকারি তথ্য বলছে প্রায় ৮ লাখ মানুষ সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। মার্চ মাস নাগাদ দেশটি প্রায় ২৫ মিলিয়ন ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে করোনায় সবথেকে বেশি প্রাণহানী হয়েছে ইন্দোনেশিয়ায়। প্রাণ হারিয়েছেন ৩১ হাজারেরও বেশি মানুষ। দেশটি এ বছরের মধ্যেই নাগরিকদের তিন ভাগের দু ভাগকে ভ্যাকসিন দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।