ঢাকাবাসীর স্বার্থে নদী-খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকবে টাস্কফোর্স

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ঢাকা বাংলাদেশের রাজধানী। কতিপয় ব্যক্তি ও গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থে ঢাকাকে ভাগাড়ে পরিণত করেছে। প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা ঢাকাকে রক্ষায় কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে ব্যাপক অগ্রগতি সাধন হয়েছে; আমরা সেটিকে স্থায়ীরূপ দিতে কাজ করছি। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নয়; দেশ তথা ঢাকাবাসীর স্বার্থে ‘টাস্কফোর্স’ কাজ করছে। নদীগুলোর প্রবাহ নিশ্চিত করব এবং নদী-খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকব।

গতকাল নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নদীর নাব্যতা রক্ষা ও নদীর গতিপ্রবাহ অব্যাহত রাখা সংক্রান্ত ‘টাস্কফোর্স’-এর বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, নদী ও পরিবেশ রক্ষায় ১৯৯৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পরিবেশবিদদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করছে। কিন্তু ২০০১ সালে খালেদা নিজামীর সরকার নদী ও পরিবেশ রক্ষায় কোনো কাজ করেনি। যেখানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী পর্যটন জেলা কক্সবাজারকে রক্ষায় কাজ করেছেন, সেখানে বিএনপি সরকার প্লট দিয়ে সুন্দর পর্যটন জেলা কক্সবাজারকে নষ্ট করে দিয়েছে। নদী রক্ষায় যেসব সংগঠন কাজ করছে, তাদেরকে এবং নদী রক্ষায় গণমাধ্যমের সহযোগিতার জন্য গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানান তিনি।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস সমন্বিতভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারে কাজ করা হচ্ছে। আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে বুড়িগঙ্গায় পানির প্রবাহ বৃদ্ধি করা হবে এবং জলাবদ্ধতা দূর করা হবে। মেয়র বলেন, কামরাঙ্গীচর একটি আইল্যান্ড (দ্বীপ)। আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধার করে কামরাঙ্গীচরকে একটি অন্যতম সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে তোলা যাবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আগামী কিছুদিনের মধ্যে পরিবর্তন দেখতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে জানানো হয়, পরিবেশ অধিদপ্তর শিল্প-কারখানায় অভিযান চালিয়ে পানি দূষণের জন্য ২০১৩ সালের জুলাই থেকে জুন ২০২০ পর্যন্ত ১৬৪ কোটি টাকা জরিমানা ধার্য করেছে। এ পর্যন্ত ৮৯ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় হয়েছে। সাভারের চামড়া শিল্প এলাকায় স্থাপিত কেন্দ্রীয় শোধনাগারের কিছু সমস্যা ছিল। এখন কারিগরি বা অন্যান্য সমস্যা নেই। কেন্দ্রীয় শোধনাগাটি ১০০ ভাগ কাজ করছে। সেখান থেকে ভালো পানি ডিসচার্জ হচ্ছে। নদীর পানি দূষিত হচ্ছে না। অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে অনেক জেলায় নদীতীর ভেঙে যাচ্ছে। নদীতীর ভাঙ্গনরোধে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বৈঠকে গুরুত্ব দেয়া হয়।

বৈঠকে অনলাইনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপি, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, পানিসম্পদ সচিব কবির বিন আনোয়ার, তথ্য সচিব কামরুন নাহার।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *