দেশের ডিজিটাল মার্কেটিং পেশাদারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনের সপ্তম সংস্করণ ডিজিটাল সামিট ২০২০ এর ভার্চুয়াল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুদিনব্যাপী সম্মেলনটি গত শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) শুরু হয়। গতকাল শনিবার রাতে ‘ডিজিটাল অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ প্রদানের মধ্য দিয়ে আয়োজনটি সমাপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের উদ্যোগে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত সম্মেলনটি এইচটিটিপুল- এর পৃষ্ঠপোষকতায় এবং ইভ্যালির সহযোগিতায় উপস্থাপিত হয়।
ডিজিটাল সামিটের ৭ম সংস্করণে ছিল ৬টি প্যানেল আলোচনা, ৫টি কি-নোট সেশন, ৩টি ইনসাইট সেশন, ২টি কেস স্টাডিজ, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বক্তারা যুক্ত হয়েছেন। পাশাপাশি, বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞরাও একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেছেন। সম্মেলনে কি-নোট সেশনগুলোর প্রধান বক্তা হিসেবে ছিলেন- ‘রিস্টোরিং দি সোল অব বিজনেস: স্টেয়িং হিউম্যান ইন দি এইজ অব ডেটা’ গ্রন্থের লেখক, ডিজিটাস এলবিআই এর সাবেক চেয়ারম্যান রিশাদ টোবাকোয়ালা, ইটিটিপুলের কান্ট্রি ডিরেক্টর কাজী মনরিুল কবির, নোমাদ ফুডসের গ্রুপ ডিজিটাল ডিরেক্টর ফ্রান্সিস নিকোলাস; কাস্টমার সাক্সেস অস্ট্রেলিয়ার ম্যানেজার গারফুলিনা, এসকিমি’র ব্যবসায় উন্নয়ন পরিচালক বরুন ভান্ডাকর। এছাড়াও সম্মেলনে দেশ-বিদেশের প্রায় চল্লিশ জন ডিজিটাল মার্কেটিং-এ অভিজ্ঞ বিশিষ্টজন প্যানেল আলোচনা, কি-নোট সেশন, ইনসাইড সেশন ও কেস স্টাডিসে তাদের বক্তব্য তুলে ধরেছেন।
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম দেশের দুজন আসাধারন সৃষ্টিশীল ব্যক্তিত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা, অভিনেতা, এশিয়াটিক থ্রি সিক্সটি এর চেয়ারম্যান আলী জাকের এবং কবি আদিত্য কবিরের দুঃখজনক ও অকাল প্রয়াণে শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালনের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল সামিট ২০২০ শুরু করেন। এরপর তিনি তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, এই ডিজিটাল সামিট থেকে আমরা উদ্ভাবন করতে পারবো কীভাবে আমরা ডিজিটাল রূপান্তরের মুখোমুখি হচ্ছি, কিভাবে আমরা বিকশিত বাজারে আমাদের স্থান খুঁজছি।
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এফএমসিজি) আসিফ ইকবাল তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, খুব দ্রুতই ৫জি চালু হতে যাচ্ছে এবং এর ফলে দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। গ্রাহক ডেটা প্লাটফর্মগুলোর দ্বার উন্মোচিত হবে এবং গোপনীয়তা বজায় রেখে কম্পিউটিং গতি অর্জন করবে। আমাদেরকে আমাদের পরবর্তী সম্ভাবনাগুলো খুঁজতে হবে।
ডিজিটাল সামিট ২০২০ এর প্যানেল আলোচনা সহ বিভিন্ন সেশনে বক্তারা বলেন, এখন এমন একটা সময় যখন একজন নেতা হিসেবে আমাদের আরও সামগ্রিক ভাবে চিন্তা করা ও আরও স্বচ্ছতার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা প্রয়োজন। এছাড়াও দেশের ভবিষ্যৎ বাজার ব্যবস্থায় ডিজিটাল রূপান্তরের চাহিদা, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করনীয় সম্পর্কে আলোচনা করেন।
২০১৪ সাল থেকে শুরু হওয়া এ সম্মেলনটি দেশের ডিজিটাল মার্কেটিং প্রফেশনালদের তথ্য ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য সর্বোচ্চ প্ল্যাটর্ফম হিসেবে সর্বজনবিদিত। এবছর সম্মেলনটিতে ৩০০ এর অধিক পেশাজীবী অংশগ্রহণ করেছেন। এ বছর সম্মেলনে প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘ব্রিংগিং ডিজিটাল এট দি কোর’। এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য হল ছোট ও বৃহৎ প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের গ্রাহকদের বুঝতে, তাদের জন্য সমাধান তৈরি করতে এবং সেই সমাধানগুলোকে সরবরাহ করার ক্ষেত্রে ব্যাবসার মূল কেন্দ্রে ডিজিটাল আনয়ন করার বিষয়টিকে সামনে আনা।