টুইটে যে ভিডিও মুছে দিলেন ট্রাম্প

শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদের একটি ভিডিও টুইট করে ব্যাপক সমালোচনার শিকার হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তার এমন কাজের কড়া সমালোচনা করেছেন ত সাউথ ক্যারোলাইনায় তার নিজ দল রিপাবলিকানের কৃষ্ণাঙ্গ সিনেটর টিম স্কট। ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ওই ভিডিও মুছে দিয়েছেন ট্রাম্প। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা ও বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম।
এতে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ফ্লোরিডায় তার সমর্থকদের একটি ভিডিও টুইট করেন। ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে ওই সমর্থকরা ‘হোয়াইট পাওয়ার’ বলে চিৎকার করছিলেন। ভিডিওতে সেটাই দেখা যায়। শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদ প্রকাশের জন্য ‘হোয়াইট পাওয়ার’ শব্দ দুটি খুব বেশি ব্যবহার করা হয়।

ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীরা এবং ট্রাম্পের সমর্থনকারীরা একে অন্যের দিকে নানা রকম মন্তব্য ছুড়ে মারছে। বিক্ষোভকারীদের একজন ট্রাম্পের এক সমর্থককে বর্ণবাদ বলে আখ্যায়িত করেন। ওই সমর্থক ছিলেন একটি গলফ কার্টে। তিনি জবাবে চিৎকার করে বলেন ‘হোয়াইট পাওয়ার’। এই ভিডিও টুইট করেন ট্রাম্প।
এর জবাবে সিএনএনের স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন প্রোগ্রামে সিনের টিম স্কট বলেছেন, সন্দেহাতীতভাবে এই ভিডিও (প্রেসিডেন্টের) রি-টুইট করা উচিত হয় নি। তার উচিত এই ভিডিও সরিয়ে নেয়া। তিনি আরো বলেন, পুরো ঘটনাই একে অন্যকে আক্রমণ করে কথার লড়াই। পুরোটাই আক্রমণাত্মক। অবশ্যই হোয়াইট পাওয়ার শব্দ দুটি আক্রমণাত্মক। এর পক্ষে কথা বলার কিছু নেই। তাই এটা প্রত্যাহার করা উচিত।
উল্লেখ্য, মে মাসের শেষের দিকে মিনেসোটার মিনিয়াপোলিসে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডকে নৃশংসভাবে হত্যা করে পুলিশ। এর প্রতিবাদে পুরো যুক্তরাষ্ট্র এমনকি বৃটেন, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানি সহ বিভিন্ন দেশে তীব্র প্রতিবাদ হয়। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে সেই বিক্ষোভ সহিংস রূপ ধারণ করে। তা নিয়ন্ত্রণে কারফিউ দিতে হয় প্রশাসনকে। বর্ণবাদের কারণে ন্যায়বিচার পান না এমন অভিযোগে যখন প্রতিবাদে উত্তাল চারদিক তখন এসব বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে টুইট করেন ট্রাম্প। তার জন্যও তাকে ব্যাপক সমালোচনা শুনতে হয়েছে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *