জুট মিল নয়, দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ করুন

ঢাকা: জুট মিল নয় বরং দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থ পাচার হচ্ছে সেসব বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।

বুধবার (১ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এ আহ্বান জানান।

জোনায়েদ সাকি বলেন, করোনাকালেও আওয়ামী লীগ সরকার লুটপাট-দুর্নীতি এমনকি মাস্ক নিয়েও দুর্নীতি করে। যখন ভর্তুকি দিয়ে আরও মিল কারখানা সচল করার দাবি উঠেছে, তখন এ সরকার শ্রমিক ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ সময়ে সরকার তার মালিকানাধীন অর্থাৎ জনগণের মালিকানাধীন কলকারখানা বন্ধ করে দেবে।

তিনি বলেন, এ সরকারের লুটপাট-দুর্নীতি কত প্রকার ও কি কি তার বড় উদাহরণ হচ্ছে এ পাট খাত। স্বাধীনতার পরে এ দেশে ৬০টির মতো জুট মিল ছিল। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকার এসে এ মিল কারখানাগুলো বিশ্বব্যাংকের বুদ্ধিতে বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ বিশ্ব ব্যাংক চায় বাংলাদেশের জুট মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাক, ভারতের জুট মিলগুলো ভালোভাবে চলুক।

২০০২ সালে বিএনপি সরকার যখন আদমজী জুট মিল বন্ধ করে দেয় তখন এ আওয়ামী লীগ সরকার বলেছে বিএনপি পাটখাতকে ধ্বংস করতেছে। কিন্তু এ আওয়ামী লীগ সরকার গত ১১ বছরের ৩১ টি জুট মিলের মধ্যে ৬ টি বন্ধ করে দিয়েছে। আর বাকিগুলো টুকটাকভাবে চলছিল, কিন্তু সেগুলো বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি হয় সেগুলো বন্ধ করতে পারেন না। বন্ধ করতে পারেন জুট মিলগুলো। যেখান থেকে শ্রমিকরা রুটি-রুজি পায়। ঋণখেলাপিদের মাফ করে দিতে পারেন, কিন্তু শ্রমিকরা যেখান থেকে রুটি-রুজি পায় সেটা বন্ধ করে দিচ্ছেন। বছরে ৭০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয় সেগুলো ধরতে পারেন না। লুটপাট দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে সেগুলো বন্ধ করতে পারেন না। আপনারা শুধু পারেন মিল কল-কারখানাগুলো বন্ধ করতে।

জুট মিলগুলো বন্ধ করে দেওয়া হলে জনগণ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *