ওবায়দুর সোহান : [২] ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটির নেতা কর্মীরা।
[৩] সোমবার দুপুর ১২ টায় জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে এই অবস্থান কর্মসূচি সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। এই অবস্থান কর্মসূচিতে বাজেট বিষয়ে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া জানান নেতৃবৃন্দরা।
[৪] এসময় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি মেহেদি হাসান নোবেল বলেন, এই বাজেট মানুষ বাঁচানোর বাজেট না। এই বাজেট কর্পোরেট স্বার্থরক্ষার বাজেট। জনগণের পকেট কেটে লুটপাটের বাজেট। বরাবরের মতোই এই বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাত উপেক্ষিত থেকে গেছে।
[৫] বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় বলেন, এই মহামারীর ভেতরে যেখানে আমরা আশা করেছিলাম স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়বে, তেমনটি দেখিনি আমরা। আমরা দেখলাম শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে যৎসামান্য বরাদ্দ বাড়িয়ে অর্থনীতি সচল রাখার নামে কর্পোরেট টাক্স কমিয়ে দেওয়া হলো। সামরিক খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে দেওয়া হলো৷ অথচ এই মহামারী আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে শক্তিশালী সামরিক বাহিনী দেশের জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। আমরা এই গনবিরোধী বাজেট প্রত্যাখ্যান করছি।
[৬] এই অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যান্য নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্যে এই কর্মসূচি থেকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান। এছাড়াও শিক্ষাখাতে এই বাজেটে ১৮ শতাংশ , স্বাস্থ্য, কৃষি এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও শিক্ষা এবং প্রযুক্তিতে পৃথক বরাদ্দের দাবি জানানো হয়।
[৭] কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি দীপক শীল, ঢাকা মহানগর সংসদের সভাপতি জহরলাল রায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম, কেন্দ্রীয় সংসদের কোষাধ্যক্ষ জয় রায়সহ প্রমুখ।