চুয়াডাঙ্গার ১৪ কিলোমিটার বেহাল সড়কে সীমাহীন দুর্ভোগ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার তিনটি সড়কের ১৪ কিলোমিটার অংশ চরম বেহাল অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে বিষ্ণুপুর থেকে ভালাইপুর গ্রামের নয় কিলোমিটার সড়ক, কার্পাসডাঙ্গা বাজার থেকে আরামডাঙ্গার মোড় পর্যন্ত এক কিলোমিটার এবং বিষ্ণুপুর বটতলা থেকে ইব্রাহীমপুর পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের গর্তে জমে থাকা পানিতে ছোট-বড় যানবাহন উল্টে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

জুড়ানপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বলেন, বিষ্ণুপুর থেকে ইব্রাহীমপুর পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা একেবারেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তাটিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতার কারণে রাস্তার ক্ষতি হচ্ছে। এখানে বেশকিছু ইটের রাবিশ দেয়া হয়েছে তাতেও কোনো কাজ হয়নি। রাস্তার নয় কিলোমিটার এলাকায় অসংখ্য গর্ত রয়েছে। এছাড়া বিষ্ণুপুর থেকে ইব্রাহীমপুর পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়ক একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কের ওপর হাঁটু পানি জমে যায়।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী খালিদ হাসান জানান, সড়কটি মেরামতের জন্য চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগারের দেয়া ডিও লেটার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। করোনা মহামারীর প্রভাব কেটে গেলে এবং সড়ক মেরামতের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গেলে সড়কগুলো মেরামতের কাজ শুরু হবে।

একই অবস্থা দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর সড়কের কার্পাসডাঙ্গা বাজার এলাকায়ও। সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) এ সড়কের কার্পাসডাঙ্গায় পৌঁছলেই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এ সড়কের পাশেই রয়েছে দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহের জগন্নাথপুর গ্রামে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আটটি কবর ও স্মৃতিস্তম্ভ, শহীদ স্মৃতি কমপ্লেক্স, ডিসি ইকোপার্ক। এছাড়া মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর স্মৃতিসৌধ ও কমপ্লেক্সে ভবন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর যাতায়াতের একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ সড়কের কার্পাসডাঙ্গা বাজার থেকে আরামডাঙ্গা মোড় পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা ও কাদা পানিতে একাকার হয়ে যায় রাস্তাটি। পায়ে হেঁটে চলার মতো উপায় থাকে না।

কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভুট্টু বলেন, এলাকাটি কৃষিসমৃদ্ধ হওয়ায় এখান দিয়ে প্রতিদিনই বিভিন্ন রকমের ফল, সবজি ও কৃষিপণ্য নিয়ে ট্রাক ও অন্যান্য হালকা যানবাহন চলাচল করে। এ সড়ক দিয়ে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ প্রতিদিন মেহেরপুর মুজিবনগর, আট কবর, ডিসি ইকোপার্কে হাজার হাজার মানুষ ও যানবাহন চলাচল করে। কার্পাসডাঙ্গা বাজার থেকে আরামডাঙ্গার মোড় পর্যন্ত বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় এ এলাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।

চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শওকত আহমেদ মজুমদার বলেন, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় বেহাল হয়ে পড়েছে সড়কটি। করোনার প্রভাব কেটে গেলে সংস্কারকাজ শুরু হবে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *