গোল উৎসবে ব্যবধান কমাল বার্সেলোনা

করোনা পরবর্তী ফুটবল ফেরার পর অবশেষে চেনা ছন্দে বার্সেলোনা। রোববার রাতে ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে ৪-১ গোলে জিতেছে কাতালানরা। এই জয়ের পরও অবশ্য রিয়াল মাদ্রিদের (৭৭) চেয়ে ৪ পয়েন্টে পিছিয়ে আছে বার্সা (৭৩)। লীগে বাকি আর ৪ ম্যাচ। গাণিতিক হিসাবে শিরোপা স্বপ্ন এখনও টিকে আছে। কাতালানরা ছন্দে ফিরল বড্ড দেরিতে। তবে এই জয় নিশ্চিতভাবেই শান্তি ফেরাবে মাঠের বাইরের বহু কারণে অশান্ত বার্সা শিবিরে।

বার্সার প্রথম গোলটি এসেছে ভিয়ারিয়াল ডিফেন্ডার পাও তোরেসের ভুলে। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে ফুলব্যাক জর্ডি আলবার বাড়ানো বলে আত্মঘাতি গোল করে বসেন পাও তোরেস। নিজেদের ভুলে গোল হজম করা ভিয়ারিয়াল পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। এই ম্যাচের আগে টানা ছয় ম্যাচ অপরাজিত ছিল তারা।
চতুর্দশ মিনিটে জেরার্ড মোরেনোর দুর্দান্ত এক গোলে সমতায় ফেরে ভিয়ারিয়াল।

২০তম মিনিটে লিওনেল মেসি ঝলক। ভিয়ারিয়ালের দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে বক্সের সামনে গিয়ে বাম পাশে থাকা লুইস সুয়ারেজকে পাস দিয়েছেন। উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার ডান পায়ের বাঁকানো শটে বল জড়িয়েছেন টপ কর্নারে। চলমান আসরে ১৪ নম্বর গোল করলেন তিনি। বার্সেলোনার প্রথম ফুটবলার হিসেবে বছরের প্রতিটি মাসে গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন সুয়ারেজ।

সাবেক ক্লাব অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে কয়েক মিনিটের জন্য মাঠে নেমেছিলেন তিনি, শেষ ৮ ম্যাচেও কোনো গোল পাননি। কোচ কিকে সেতিয়েন বলেছিলেন গ্রিজমানকে নামালে দলের ভারসাম্য ঠিক থাকে না। বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলার বার্সার জন্য ব্রাত্য হয়ে পড়েছেন- এমন গুজব জোরালো হয়ে উঠছিল ধীরে ধীরেই। ৪৫ মিনিটে অঁতোয়ান গ্রিজমান পেয়েছেন কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। ভিয়ারিয়ালের বক্সের ঠিক বাইরে মেসির সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ার পর ব্যাকহিল থেকে বল পান গ্রিজমান। ডি-বক্সের মুখ থেকে বাম পায়ের দুর্দান্ত এক চিপে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি। চলমান আসরে মেসির অ্যাসিস্ট সংখ্যা ১৯। ২০১০-১১ আর ২০১৪-১৫ মৌসুমে সর্বোচ্চ ১৮টি অ্যাসিস্ট ছিল মেসির। লীগে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ অ্যাসিস্টের নিজের রেকর্ডটা ছাড়িয়ে গেছেন বার্সা অধিনায়ক।

গ্রিজমান বার্সেলোনার জার্সিতে পেলেন নবম গোল। এর তিনটিতেই অ্যাসিস্ট করেছেন লিওনেল মেসি। চলতি মৌসুমে মেসির পাস থেকে সবচেয়ে বেশি গোল করলেন গ্রিজমান।

৮৬তম মিনিটে দলের চতুর্থ গোলটি করেন গ্রিজমানের বদলি নামাআনসু ফাতি। আলবার পাস পেয়ে বাঁ দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে ডান পায়ের নিচু শটে কাছের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ১৭ বছর বয়সী স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *