আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার শিয়ালী গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের মন্দির, বাড়ি-ঘর ও দোকানপাটে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলেও তিনি জানান।
মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এ ধরনের হামলা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বাঙালি জাতির হাজার বছরের আবহমান ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মূলে কুঠারাঘাতের শামিল। বাংলাদেশ একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ, এ দেশে কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ওপর যেকোনো ধরণে হামলা কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা অসাম্প্রদায়িকতার নীতিকে প্রাধান্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। যেকোনো ধরনের ধর্মীয় সহিংষতার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এ ধরনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ইতোমধ্যে হামলাকারীদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে স্থানীয় প্রশাসন তৎপর রয়েছে এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকে হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে একটি কুচক্রি মহল পরিকল্পিতভাবে সাম্প্রদায়িক উস্কানি সৃষ্টি করে সর্বদা ফায়দা লুটতে চায়। সারাদেশে এ ধরনের সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প সৃষ্টিকারীদের ছড়ায় সরকার বরাবরই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে। ঐতিহাসিক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষ-অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক যে চেতনার উন্মেষ হয়েছে তা অক্ষুণ্ন রাখা আমাদের পবিত্র দায়িত্ব।
বিবৃতিতে তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সকল অসাম্প্রদায়িক শক্তিকে সাম্প্রদায়িক এই অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।