ভারতের কেরালায় প্লেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে দুবাই থেকে ১৯০ জন আরোহী কেরালার কোঝিকোড বিমানবন্দরে অবতরণের সময় এয়ার ইনডিয়া এক্সপ্রেসের প্লেনটি রানওয়ে থেকে ছিটকে ৩৫ ফুট গভীর খাতে পড়ে যায়।
ভারতের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্লেনটির অধিকাংশ যাত্রী করোনায় মহামারীতে দুবাইয়ে আটকে পড়া ভারতীয়। ১০ জন শিশুসহ মোট ১৮৪ জন যাত্রী ছিলেন ওই উড়োজাহাজে। ফ্লাইট পরিচালনায় ছিলেন দুইজন পাইলট ও চারজন কেবিন ক্রু। নিহত ১৭ জনের মধ্যে পাইলট দীপক বসন্ত শাঠে ও কো-পাইলট অখিলেশ কুমারও রয়েছেন।
ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ডিজিসিএ জানিয়েছে, উড়োজাহাজটি প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই অবতরণ করছিল। দৃশ্যমানতা ছিল ২০০০ মিটার। এটি রানওয়ে ওয়ান জিরো ছোঁয়ার পরে না থেমেই রানওয়ের শেষ মাথায় চলে যায়, আর তার পরে সেটি ছাড়িয়ে সামনের উপত্যকায় গিয়ে পড়ে। তখনই উড়োজাহাজটি দুই টুকরো হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, কেরালায় ব্যাপক বৃষ্টি হচ্ছে। বন্যা চলছে সেখানে। গতকালই ইদুক্কি জেলায় ভূমিধসে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল রাতে বিমান দুর্ঘটনাটি ঘটল।
ভারতের বিমানমন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী জানিয়েছেন, ১০ নম্বর রানওয়ে থেকে পিছলে বিমানটি নীচে পড়ে দু’টুকরো হয়ে যায়। তবে তাতে আগুন ধরেনি। তা না হলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারত বলে মত বিশেষজ্ঞদের। গভীর রাত পর্যন্ত ভেঙে পড়া বিমান থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করার কাজ করে কেরালা পুলিশ ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর যৌথ দল।
মালাপুরমের জেলাশাসককে গোপালকৃষ্ণন জানিয়েছেন, দুর্ঘটনায় আহত ১৭৩ জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আহতদের কোঝিকোডের সাতটি ও মালাপুরমের কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পরে কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরে তিনি টুইটারে জানান, উদ্ধারকাজের সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। বিজয়ন জানান, পুলিশ ও দমকলকে দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে উদ্ধারকার্যে শামিল হয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন কেরলের ওয়েনাডের সংসদ সদস্য ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বিদেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্লেনটির যাত্রীদের খোঁজখবর দেওয়ার জন্য দুবাই ও শারজায় হেল্পলাইন খোলা হয়েছে।
কেরালায় এয়ার ইন্ডিয়ার উড়োজাহাজ দুই টুকরো – নিহত অন্তত ১৪