কুরআন “মুত্তাকি”দের পথপ্রদর্শক

ওয়ালি উল্লাহ সিরাজ : কুরআন একটি মহান গ্রন্থ। মানব জাতীর পথনির্দেশনা, জীবনবিধান ও আইনগ্রন্থ।এই কোরআনে আল্লাহ পাক মানুষের জীবন পরিচলনা থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনার সকল বিধান বর্ণনা করেছেন। পৃথিবীর বুকে কোরআনই একমাত্র কিতাব বা গ্রন্থ যেখানে সন্দেহের লেশমাত্র নেই। দুনিয়াতে যত গ্রন্থ আছে তার রচয়িতা কখনো বলতে পারেনি যে আমার কিতাব নির্ভূল।বরং সব বইয়ের রচয়িতাই বইয়ের প্রথমে বলে থাকেন ভূল থাকলে ধরিয়ে দিবেন। কৃতজ্ঞ থাকবো। বিভিন্নজন বিভিন্নভাবে বলে থাকেন। আল্লাহপাক পবিত্র কোরআনের শুরুতেই স্পষ্ট ভাষায় বলেদিয়েছেন।এতে কোন প্রকার সন্দেহ থাকার তো কোন প্রশ্নই আসে না বরং সন্দেহের লেশমাত্রও নেই।

২.এটি আল্লাহর কিতাব, এর মধ্যে কোন সন্দেহ নেই এটি হিদায়াত সেই ‘মুত্তাকী’দের জন্য। ৩. যারা অদৃশ্যে বিশ্বাস করে, নামায কায়েম করে এবং যে রিযিক আমি তাদেরকে দিয়েছি তা থেকে খরচ করে। ( সূরা আল বাকারা,আয়াত ২,৩,)

পবিত্র কুরআনের দ্বিতীয় সূরা,সূরা আল বাকারা। এই সূরার দ্বিতীয় ও তৃতীয় আয়াতে আল্লাহ তায়ালা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। প্রথমত বলা হচ্ছে এটি আল্লাহর কিতাব এতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই। দ্বিতীয়ত বলা হচ্ছে এই কিতাব হিদায়েত সেই মুত্তাকিদের জন্য যারা অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস রাখে, নামায কায়েম করে,তাকে যে রিজিক দেয়া হয়েছে তা থেকে খরচ করে।

একজন কুরআন পাঠকারীর মনে যেন কোন প্রকার সন্দেহের জন্মই না নেই। এই জন্য প্রথমেই তিনি বলে দিচ্ছেন। এখানে সন্দেহ তো দূরের কথা, সন্দেহের নেশমাত্রও নেই।এর পর পঠকের কিছু গুণাবলির কথা বলা হচ্ছে। কুরআন সকল পঠকের জন্য হিদায়েত নয়। কুরআন হিদায়েত হবে শধু তাদের জন্য যারা অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস রাখে,নামায কায়েম করে, তার রিজিক থেকে খরচ করে। সুতরাং যারা কুরআনকে পথপ্রদর্শকরূপে পেতে চায় তাদেরকে অবশ্যই এইসব গুণাবলি অর্জন করে কোরআন পড়তে করতে হবে।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *