এ পরিস্থিতিতে কোনো পরিকল্পনা নেই – সজল

দর্শকপ্রিয় অভিনেতা সজল। দীর্ঘদিন ধরেই ক্যামেরার সঙ্গে সখ্যতা তার। সকাল থেকে রাত অবধি টানা শুটিংয়েই ব্যস্ত থাকতে হয় তাকে। তবে মরণঘাতী করোনাভাইরাস যখন থেকে দেশে হানা দেয়া শুরু হলো তখন থেকেই ঘরবন্দি তিনি। দুই মাসেরও অধিক সময় বাড়িতেই অবস্থান করছেন এ অভিনেতা। তবে ঈদের পরেই সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি শেষ হওয়ায় শুটিংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যায়। এক্ষেত্রে কেউ কেউ শুটিং শুরু করলেও ফেরেননি সজল। কখন ফিরবেন তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না।

সজল বলেন, ছুটি শুরু হওয়ার কদিন আগে থেকেই আমি বাসায় অবস্থান করছি। সেই যে ঢুকেছি আর বের হইনি। কবে বের হবো তা নিশ্চিত নয়। নতুন কোনো নাটকের কাজ কি রয়েছে সজলের হাতে? জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্ক্রিপ্ট তো আগেই হাতে পেয়েছি। কোরবানির ঈদের জন্যও কয়েকটি নাটকের কথা হয়েছে। কিন্তু এ পরিস্থিতিতে আপাতত কোনো পারিকল্পনা নেই। একটানা দীর্ঘদিন বাসায়। কেমন কাটছে ঘরবন্দি জীবন? সজল বলেন, সময়টা দারুণ কাটিয়েছি। সবসময় তো বাইরের কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। কিন্তু শুটিং না থাকায় বাসায় থাকাকালীন সময়টা গুছিয়ে নিয়েছি। প্রতিদিন রুটিন করে কাজ করেছি। এ অভিনেতা আরো বলেন, নাটকের শুটিং থাকায় কখনো বাবা মা বাসায় কি করেন সেদিকে খেয়াল দিতে পারিনি। এবার সেটা করতে পেরেছি। বিশেষত মাকে হেল্প করেছি। বাসায় কাজের লোক তো ছুটিতে। তাই ঘর ঝাড়ু দেয়া ও মোছার দায়িত্বটি আমিই নিয়েছি। অন্য সময় শুটিংয়ের কাজ শেষ করে বাসায় ফিরে ক্লান্ত অবস্থায় টানা ঘুম দিয়েছি। দেরি করেই ঘুম ভাঙতো। কিন্তু এই লকডাউনের সময় প্রতিদিন আর্লি মর্নিং ঘুম থেকে উঠেছি। নামাজ আদায় করেছি। নিয়ম করে এক ঘণ্টা কোরআন শরীফ পাঠ করেছি। দৈনন্দিন জীবনযাপন প্রসঙ্গে সজল জানান, বাড়ির ছাদে বাবার একটি বড় বাগান রয়েছে। প্রতিদিন বাবা যেভাবে বাগানের যত্ন নিতেন সেটা আমি করেছি। এছাড়া বই পড়া, নাচের কৌশল রপ্ত করা, ব্যায়াম, হাঁটার অভ্যাসও গড়ে উঠেছে।
দীর্ঘদিন মিডিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে আছেন সজল। প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির অনেক গল্পই রয়েছে তার। এক ক্যারিয়ার থেকে কি পেয়েছেন সজল? তিনি বলেন. পাওয়া না পাওয়া নিয়েই তো মানুষের জীবন। আমি পর্দার সামনে এসেছি। দর্শক আমাকে গ্রহণ করেছেন। ভালোবেসেছেন। সবার পছন্দের মানুষ হতে পেরেছি। এটাই আমার বড় প্রাপ্তি। আজ আমি সজল হতে পেরেছি দর্শকেরই ভালোবাসায়। তাই তাদের কথা ভুলবো না কখনোই।

0Shares

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *